জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা বনাম রাজাকার– এই বিভাজনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ দেশকে বিভাজন করে রেখেছিল। ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে এই বিভাজনকে তোয়াক্কা না করে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে গিয়েছিলাম। অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, সর্বজনের বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলাম। যেই বাংলাদেশ শ্রমিকের, কৃষকের, মধ্যবিত্তের হবে।’
এনসিপির জুলাই পদযাত্রার ১৫তম দিনে আজ সোমবার দ্বীপজেলা ভোলায় এক সমাবেশে নাহিদ এসব কথা বলেন। শহরের কাবিল জামে মসজিদের সামনে স্থানীয় এনসিপির আয়োজনে এ সমাবেশে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেন। এর আগে দুপুরে নাহিদ ইসলামসহ এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা বরিশাল থেকে ভোলায় আসেন।
ভোলার মানুষকে যুগের পর যুগ সব উন্নয়ন ও সুযোগ-সুবিধা থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন নাহিদ। তিনি বলেন, ‘আধুনিক যুগে যেখানে তথ্যপ্রযুক্তি সব দূরত্ব ঘুচিয়ে দেয়, সেখানে ভোলাবাসীকে আমাদের থেকে দূরে রাখা হয়েছে। আমরা আসছি সেই দূরত্ব ঘুচিয়ে ভোলাবাসীকে আপন করে নিতে। আজ থেকে ভোলাবাসীর সঙ্গে আমাদের আর কোনো দূরত্ব থাকবে না।’
একই সভায় এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, অনিয়ম, দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার মৌলিক সংস্কারের জন্য যে কাজগুলো করার দরকার ছিল, সেগুলো ঠিকমতো করছে না। আমাদের নজরে রাখা দরকার, শহীদ পরিবারের দেখভালের দায়িত্ব জুলাই ফাউন্ডেশন নেয় নাই। এই সরকার আমাদের নতুন করে বানাতে হবে।’
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন ভোলার সংগঠক আবদুল্লাহ আল মামুন, সদস্য হাসিব আর রহমান, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ হাসানের বাবা মো. মনির প্রমুখ। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
এর আগে ভোলায় পৌঁছে নাহিদ ইসলাম, সামান্তা শারমিন, হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, ডা. তাসনিম জারাসহ এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা কালীবাড়ীর মোড় থেকে পদযাত্রা শুরু করেন। এ সময় এনসিপি নেতারা নানা স্লোগানের পাশাপাশি কুশল বিনিময় করেন মানুষের সঙ্গে।