মালদ্বীপে নবনিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদ গত ২৩ মে মালদ্বীপের জাপান দূতাবাস কার্যালয়ে জাপানি রাষ্ট্রদূত তাকেউচি মিদোরির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে জাপান-বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বছরের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও সুসংহত করার লক্ষ্য অর্জনে উভয়েই প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
জাপানের রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করে বলেন, দুই দেশের সম্পর্কের এই মাইলফলক বছরে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশের উন্নতি হয়েছে। এক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে আমাদের উভয়ের জন্য লাভজনক অংশীদারত্ব গড়ে তুলতে হবে।
উভয় পক্ষই ১৯৭৩ সালের অক্টোবরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপানে ঐতিহাসিক সরকারি সফরের কথা স্মরণ করেন, যা দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করেছিল।
বাংলাদেশ হাইকমিশনার জাপানি রাষ্ট্রদূতকে বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপান সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের যে ভিত রচিত হয়েছিল তা এখন বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বিভিন্ন খাতে বিস্তৃত। জাপান বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার উল্লেখ করে তিনি স্বাধীনতাপরবর্তী বাংলাদেশের পুনর্গঠনে জাপানের অবদান এবং বাংলাদেশের অবকাঠামোসহ বিভিন্ন খাতে জাপানের উন্নয়ন সংস্থাগুলোর ভূমিকা তুলে ধরেন। তিনি জাপানি রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতায় মহামারী চলাকালীন মালদ্বীপে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া সহায়তার জন্য এবং বৈষম্য ছাড়াই সবার জন্য টিকা প্রদানের সুযোগ সহজ করায় জাপানি রাষ্ট্রদূত ও মালদ্বীপ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
সাক্ষাৎ শেষে রাষ্ট্রপতি ও হাইকমিশনার দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন এবং জাপানের রাষ্ট্রদূত দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পঞ্চাশ বছরপূর্তি উপলক্ষে মালদ্বীপে জাপান দূতাবাস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপান সফরের একটি স্মারক বই বাংলাদেশ হাইকমিশনার এর হাতে তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মিশনের প্রথম সচিব মো. সোহেল পারভেজ এবং জাপান দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, গত ২০ জানুয়ারি জাপানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে তাকেউচি মিদোরি মালদ্বীপে নিযুক্ত হয়েছেন। তাকেউচি হলেন মালদ্বীপে জাপানের দ্বিতীয় মহিলা আবাসিক রাষ্ট্রদূত, যিনি তার সাবেক কেইকো ইয়ানাইয়ের কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নিয়েছিলেন।