নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় করা ধর্ষণ মামলায় ষষ্ঠ দফায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দু’জন পুলিশ কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে।
রোববার দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুন্সি মশিয়ার রহমানের আদালতে এ সাক্ষ্য গ্রহণ হয়।
সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক তবিদুর রহমান ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রাকিবুল ইসলাম উজ্জল আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন । এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। এই মামলার চার্জশিটে সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন ৪০ জন।
সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আগামী ৩ অক্টোবর পরবর্তী তারিখ ধার্য করে।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ কে এম ওমর ফারুক বলেন, মামুনুল হকের বিপরীতে দু‘জন পুলিশ কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। সাক্ষীরা আমাদের প্রশ্নে এলোমেলো উত্তর দিয়েছেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে জেলা কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয় মামুনুল হককে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ জুলাই মামুনুল হকের বিরুদ্ধে পঞ্চম দফায় সাক্ষ্য দিয়েছিলেন চার্জশিটের ১১ নম্বর সাক্ষী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহাগ রনি ও ১২ নম্বর সাক্ষী রতন মিয়া। ৯ মে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে চতুর্থ দফায় সাক্ষ্য দিয়েছিলেন চার্জশিটের ৯ ও ১০ নম্বর সাক্ষী যথাক্রমে নাজমুল হাসান শান্ত ও মো: শফিকুল ইসলাম। ২৫ জানুয়ারি তৃতীয় দফায় সাক্ষ্য দিয়েছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, রিসোর্টের আনসার গার্ড ইসমাঈল ও রিসিপশন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সাথে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করে। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। এ ঘটনায় ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। তবে ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।