দলীয় ১০০ রানের পর আউট নিকোলাস পুরান। ১৩তম ওভারে মোসাদ্দেকের হাতে বল তুলে দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তাতেই বাজিমাত ১১ মাস পর দলে ফেরা মোসাদ্দেক। এলবিডব্লিউ করে ফেরান ভয়ঙ্কর হতে থাকা উইন্ডিজ অধিনায়ককে। রিভিউ নিয়েছিলেন পুরান, কাজে আসেনি। ৩০ বলে ৩৪ রান করেন পুরান। পেসাররা সুবিধা করতে পারছেন না উইন্ডসর পার্কে। মেডেন উইকেট নেন মোসাদ্দেক।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১০৮/৩ (১৪ ওভার)
কিংয়ের ফিফটি
সাকিবকে চার মেরে ৩৬ বলে ফিফটির দেখা পান ব্রেন্ডন কিং। এটি তার তৃতীয় ফিফটি। ২৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর পুরানকে সঙ্গে পাল্টা প্রতিরোধ গড়েন কিং। দুজনের জুটি থেকে আসে ৭৪ রান। কিং ফিফটি করলেও পুরান ফেরেন মোসাদ্দকের শিকার হয়ে।
কিং-পুরানে ৭২ বলে উইন্ডিজের ১০০
২৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ঘুরে দাঁড়িয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্রেন্ডন কিং-নিকোলাস পুরানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলটি ১২ ওভারে ১০০ রান করে। দুজনের জুটি ৭০ পেরিয়েছে। কিং ফিফটির পথে আছেন।
কিং-পুরান ঝড়ে উইন্ডিজের পাল্টা প্রতিরোধ
ব্রেন্ডন কিং ও নিকোলাস পুরান ঝড়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুজনে ইতিমধ্যে জুটিতে ৫০ রান যোগ করেছেন। ২৬ রানে প্রথম দুই উইকেট হারিয়েছিল স্বাগতিকরা। এরপর দুজনের ব্যাটে চড়ে এগিয়ে চলছে বড় রানের দিকে। প্রায় প্রতি ওভারেই আসছে বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি। পাওয়ার প্লের পর ৪ ওভারে তারা ৩৯ রান করে।
২ উইকেট হারিয়েও পাওয়ার প্লেতে উইন্ডিজের দারুণ ব্যাটিং
দ্বিতীয় ও চতুর্থ ওভারে উইন্ডিজ তাদের ২টি উইকেট হারায়। তবুও পাওয়ার প্লেতে তারা ৪৬ রান তোলে। তার মধ্যে সাকিব আল হাসান নিজের প্রথম ওভারে ১ রান দিয়েছেন! পেসাররা সুবিধা করতে পারছেন না। তাসকিন প্রথম ওভারে ১৪ দেন, শরিফুল দেন ১১ আর মোস্তাফিজুর রহমান দেন ৮ রান। ব্যাটিংয়ে নিকোলাস পুরান ও ব্রেন্ডন কিং।
মেহেদির পর সাকিবের আক্রমণ, শূন্য রানে আউট ব্রুকস
মেহেদির পর এবার সাকিবের আক্রমণ ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে কাইল মায়ার্সকে ফিরিয়েছিলেন শেখ মেহেদি হাসান। এবার চতুর্থ ওভারেই উইকেট নিলেন সাকিব আল হাসান। তার প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে আকাশে তুলে দিয়েছেন শামরাহ ব্রুকস। শর্ট মিডউইকেটে ক্যাচ নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শূন্য রানে ফেরেন ব্রুকস। ২৬ রানে ২ উইকেট হারালো উইন্ডিজ। সাকিব প্রথম ১ রানে ১ উইকেট নেন।
ঝড়ো ইনিংসের আভাস দিয়ে দ্বিতীয় ওভারেই বোল্ড মায়ার্স
তাসকিনের প্রথম ওভারে ১৪ রান নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরু। প্রথম বল ডট দিয়েছিলেন। পরের বল সিঙ্গেল নেন ব্রেন্ডন কিং। এরপর ১টি করে চার-ছয়ে কাইল মায়ার্স ৪ বলে নেন ১৩ রান। প্রথম ওভারে উইন্ডিজের রান ১৪। দ্বিতীয় ওভারেই শেখ মেহেদি হাসান এসে প্রথম বলে মায়ার্সের কাছে চার হজম করেন। পরের তিন বল কোনো রান নিতে পারেননি। আর পঞ্চম বলেই বোল্ড হন মায়ার্স। তিনি ৯ বলে ১৭ রান করেন।
একাদশে মোসাদ্দেক-তাসকিন, ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
ডোমিনিকার উইন্ডসর পার্কে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি বাংলাদেশ। টসে হেরে মাহমুদউল্লাহর দল ফিল্ডিং করবে। বাংলাদেশ সময় রোববার (৩ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টায় খেলাটি শুরু হবে। প্রথম ম্যাচ বৃষ্টির কারণে বাতিল হয়েছে। বাংলাদেশ একাদশে দুই পরিবর্তন এসেছে। একাদশে এসেছেন মোসাদ্দেক হোসেন ও তাসকিন আহমেদ। বাদ পড়েছেন মুনিম শাহরিয়ার ও নাসুম আহমেদ। বাংলাদেশ একাদশ সাজিয়েছে তিন পেসার নিয়ে।
বাংলাদেশ একাদশ: এনামুল হক বিজয়, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন ধ্রুব, নুরুল হাসান সোহান, শেখ মেহেদী হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।
১১ মাস পর একাদশে মোসাদ্দেক
টি-টোয়েন্টিতে মোসাদ্দেক হোসেন সবশেষ খেলেছেন ২০২১ সালের আগস্টে। অস্ট্রেলিয়ায়র বিপক্ষে ঘরের মাঠে এই ম্যাচের পর আর সুযোগ পাননি। ছিলেন না বিশ্বকাপ দলেও। এবার সুযোগ এলো উইন্ডিজের মাটিতে। এখন পর্যন্ত ১৬ টি-টোয়েন্টিতে ব্যাট হাতে ২০০ রানের পাশাপাশি মোসাদ্দেক বল হাতে নিয়েছেন ৫ উইকেট।
মুনিমের ‘ব্যাক ইস্যু’
এখন পর্যন্ত তিন টি-টোয়েন্টি খেলে ২৩ রান করেছেন মুনিম শাহরিয়ার। উইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে আউট হন মাত্র ২ রানে। দ্বিতীয় ম্যাচের একাদশে নেই এই ব্যাটসম্যান। টসের সময় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলেছেন, তার ব্যাক ইস্যু (ইনজুরি) রয়েছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ
এক পরিবর্তন নিয়ে নেমেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইনজুরির কারণে নেই ডেভন থমাস। একাদশে এসেছেন কিমো পল।
কাইল মায়ার্স, ব্রেন্ডন কিং, সামারাহ ব্রুকস, নিকোলাস পুরান (অধিনায়ক), রভম্যান পাওয়েল, কিমো পল, ওডিয়ান স্মিথ, রোমারিও শেইফার্ড, আকিল হোসেন, ওবেদ ম্যাককয়, হেইডেন ওয়ালশ।
আবহাওয়া নিয়ে স্বস্তি
প্রথম দিন বৈরি আবহাওয়ার কারণে ১৩ ওভার পর শেষ পর্যন্ত ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে এমন সম্ভাবনা খুবই কম। ডোমিনিকার আকাশ এখন পরিস্কার। সকাল থেকে কোনো বৃষ্টি হয়নি। ক্রিকেটাররা মাঠে এসে ঝালিয়ে নিচ্ছেন নিজেদের। আছেন ফুরফুরে মেজাজে। যথাসময়ে খেলা শুরু থেকে পুরো ম্যাচই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ক্রিকেটারদের পাশে রাসেল ডোমিঙ্গো
গতকাল রাতে প্রথম টি-টোয়েন্টি বৃষ্টির বাগড়ায় পরিত্যক্ত হয়। তবে বাংলাদেশের ব্যাটিং নিয়ে দুশ্চিন্তা শেষ হয়নি। ভালো শুরুর পর মাত্র ২১ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ডমিঙ্গো ভুল না ধরে ছেলেদের পাশেই আছেন, ‘আমাদের কিছু ছেলে বেশ কয়েক সপ্তাহ খেলায় ছিল না। আফিফ, মাহমুদউল্লাহ- ওরা ভালোমতো অনুশীলনের সুযোগ পায়নি। মাহমুদউল্লাহ তো আমার মনে হয় ওর সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়।’
লড়াই হবে সমানে-সমান
টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুর্দান্ত দল হলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে তেমন সুবিধা করতে পারেনি। হার-জিতের পাল্লা দুই দলেরই প্রায় কাছাকাছি অবস্থান। এখন পর্যন্ত দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ১৪বার। তাতে ৭বার উইন্ডিজ ও ৫বার বাংলাদেশ জিতেছে। গতকালেরটিসহ ২ ম্যাচের ফল হয়নি। সবশেষ সফরে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সিরিজও জিতেছিল ২-১ ব্যবধানে। এবারও সেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে নামতে চান মাহমুদউল্লাহ।
সিরিজ শুরুর আগের দিন মাহমুদউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘সাকিব, লিটন আছে, আমি আছি। আফিফ, সোহান, মোসাদ্দেক আছে। শেখ মেহেদী আছে। আমি মনে করি ব্যাটিংয়ের গভীরতা ভালো। আমাদের বোলিং আক্রমণও খুব ভালো, বৈচিত্র্য আছে। আশা করি অনেক চ্যালেঞ্জিং সিরিজ হবে।
পরিত্যক্ত টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিং নিয়ে দুশ্চিন্তা
১২.৪ ওভারে সোহানের ছয়ে বাংলাদেশ দলীয় একশ পার করে। সোহান আউট হয়ে যান এই ওভারেই। ওভারট শেষ না হতেই আবার বৃষ্টির বাঁধা। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ভেসে যায় বৃষ্টিতে। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই মাঠেই, আগামীকাল রাত সাড়ে ১১টায়। আজ বৃষ্টির কারণে প্রথমে ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট দেরিতে খেলা শুরু হয় ১৬ ওভারে। ৭.৩ ওভার পর আবার বৃষ্টি আসলে আরও ২ ওভার কমিয়ে ১৪ ওভার করা হয়। ১৩ ওভার পর এবার বৃষ্টি আসে। বৃষ্টি আইনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৪ ওভারে নতুন লক্ষ্য পায় ১০৮ রান৷ কিন্তু স্থানীয় সময় ৫টা ১৮ মিনিটের আগে কমপক্ষে পাঁচ ওভারের খেলার সিদ্ধান্ত নিতে হতো। কিন্ত বৃষ্টিতে খেলার কোন সুযোগই মেলেনি। শেষ পর্যন্ত দুই অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলে ম্যাচ অফিসিয়ালরা পরিত্যাক্ত ঘোষণা করে। বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারেনি। পাওয়ার প্লেতে ৫৬ রান যোগ করার পর হঠাৎ ছন্দপতন ঘটে। ২১ রানে হারায় ৫ উইকেট। শুরুতে সাকিব আল হাসানের ঝড় আর শেষে নুরুল হাসান সোহানের দারুণ ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ১০০ পার করতে পারে ১৩ ওভারে। ১৫ বলে সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন সাকিব। আর সোহানের ব্যাট থেকে আসে ১৬ বলে ২৫। ৭ বছর পর দলে ফিরে এনামুল হক বিজয় আউট হন ১০ বলে ১৬ রান করে। এ ছাড়া কোনো ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের ঘর পেরোতে পারেননি। ৩ ওভারে ২১ রান দিয়ে উইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন রোমারিও শেইফার্ড। এ ছাড়া ২ উইকেট নেন হেইডেন ওয়ালশ।