বিনাখরচে হজে নেওয়ার ফাঁদ

ফেনীর দাগনভূঞা ও সোনাগাজীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ধর্মীয় শিক্ষকদের এমপির কোটায় বিনাখরচে হজে নেওয়ার প্রলোভনে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে এমপি মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক বাদী হয়ে এ প্রতারণার বিরুদ্ধে সোনাগাজী থানায় জিডি করেছেন। জিডিতে বিনাখরচে হজে নেওয়ার খবরটি সম্পূর্ণ ভুয়া ও প্রতারণা বলে উল্লেখ করেছেন। মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী হজে কোনো লোক পাঠান না বলে উল্লেখ করেছেন জনসংযোগ কর্মকর্তা।

প্রসঙ্গত গত ২০ এপ্রিল থেকে একটি প্রতারকচক্র ০১৮৮৬৪৮৫৭৫১ ও ০১৮৮৬৩২২০১৯ মোবাইল নম্বর থেকে এমপির পিএস ও এপিএস পরিচয় দিযে হাইস্কুল ও মাদ্রাসার প্রধানদের এমপির কোটায় বিনাখরচে ধর্মীয় শিক্ষকদের হজে নিচ্ছে বলে দ্রুত যোগাযোগ করতে বলে। উল্লিখিত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করলে নিবন্ধন ফি বাবদ সাড়ে সাত হাজার টাকা দ্রুত বিকাশ করতে বলা হয়।

এমপির প্রতি আস্থা রেখে বা লোভে পড়ে টাকা পাঠালে পরে উল্লিখিত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ ফাঁদে দাগনভূঞার সুজাতপুর হাইস্কুল, আলহাজ শামসুল হক মিয়া আদর্শ একাডেমি, বাতশিরী হাইস্কুল, দরবেশেরহাট আলিম মাদ্রাসাসহ সোনাগাজীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা প্রতারণার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

দাগনভুঞার সুজাতপুর হাইস্কুলের ধর্মীয় শিক্ষক মাও. মামুদুল হাসান জানান, প্রধান শিক্ষক প্রতারকের মোবাইল নম্বরে ফোন দিতে বললে তিনি হজ নিবন্ধনের জন্য সাড়ে সাত হাজার টাকা পাঠান বিকাশে। পরবর্তী সময়ে ফোন নম্বরগুলো বন্ধ পাওয়া যায়।

এমপি লে জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী জানান, ওই কর্মকাণ্ডটি খুবই গর্হিত। তিনি হজে কোনো লোক পাঠান না। সবাইকে সাবধান থাকার জন্য বলেন।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ