বিদ্যুতের দাম সাড়ে ১৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব, গণশুনানি চলছে

গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম সাড়ে ১৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। বিতরণ কোম্পানিগুলোর আবদনের প্রেক্ষিতে এ প্রস্তাব করে বিইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি।

রোববার (৮ জানুয়ারি) রাজধানীর বিয়াম অডিটরিয়ামে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির এই গণশুনানি চলছে।

বর্তমানে প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের গড় খুচরা মূল্য ৭ টাকা ১৩ পয়সা। বিইআরসির প্রস্তাব কার্যকর হলে নতুন দর হবে ৮ টাকা ২৩ পয়সা।

এর আগে গত ডিসেম্বরে পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল। এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভোক্তা পর্যায়ে দাম বাড়ানোর আবেদন করে ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি।

শুনানির শুরুতে বিইআরসির চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বলেন, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির আবেদনের যৌক্তিকতা ও ন্যায্যতা প্রমাণের দায়িত্ব আবেদনকারীর। বিইআরসি জনস্বার্থ ও ভোক্তা স্বার্থ বিবেচনা করে আদেশ দেবে।

চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমরা একটি খারাপ সময় অতিক্রম করছি। করোনা এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্ব সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম না। কিছুটা রক্ষণাত্মক ভূমিকা পালন করতে হচ্ছে। এ জন্য কমিশনকে দূরদর্শিতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কমিশন এ বিষয়ে সব সময় আন্তরিকতা সঙ্গে সচেষ্ট থেকেছে। তবে আমাদের ব্যর্থতা নেই এটা দাবি করবো না।

তিনি বলেন, কমিশন অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বিরোধ নিষ্পত্তি করে থাকে। কারো কোন অভিযোগ থাকলে ৫৪ ধারায় আবেদন করতে পারেন। গণশুনানিতে কোন ব্যক্তিগত অভিযোগ না উত্থাপনের অনুরোধ করছি।

শুনানিতে অংশ নিয়েছেন বিইআরসির সদস্য মোহাম্মদ আবু ফারুক, মকবুল ই ইলাহী চৌধুরী, বজলুর রহমান ও কামরুজ্জামান।

বিতরণ সংস্থাগুলো আবেদনে বলেছে, ২০২০ সালের পর খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়ানো হয়নি। এর মধ্যে বিভিন্নখাতে খরচ বেড়েছে। এখন পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ানোর কারণে তাদের ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। তাই ভোক্তা পর্যায়ে দাম বাড়াতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ