সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে বন্যায় লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ভাটিতে পানির টান না থাকায় বন্যার পানি হ্রাস পাচ্ছে কচ্ছপগতিতে।
সুরমা, চেলা, মরাচেলা, চিলাই, চলতি, কালিউড়ি, খাসিয়ামারা, ধূমখালি, মৌলা ও ছাগলচোরাসহ বিভিন্ন নদীনালা, খালবিল ও হাওড়ের পানি এখনো বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে।
সেই সঙ্গে উত্তাল ঢেউয়ে নদী তীরের দোকানপাট, স্থাপনা ও হাওড়পাড়ের রাস্তাঘাটসহ অনেক কাঁচা বাড়িঘর ধসে যাচ্ছে। সর্বত্র বানের পানি থৈ থৈ করায় গৃহস্থালি মালামাল রক্ষায় ব্যস্ত থাকায় আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাঁই নিতে পারেনি অনেক পরিবার। ফলে গবাদিপশু ও পরিবার পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে ও অনাহারে কাটছে বানভাসিদের জীবন।
অপরদিকে বন্যায় উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের কাঁচা-পাকা রাস্তা, ব্রিজ ও কালভার্ট ভেঙে গেছে। হাজার হাজার হেক্টরের আউশ, বোরো ও রবিশস্য তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে উপজেলার অর্ধশতাধিক পুকুরের মাছ।
গত সাত দিন ধরে জেলা ও উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে উপজেলার ৯ ইউনিয়নের।
বন্যাকবলিত দোয়ারাবাজারকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করে পর্যাপ্ত ত্রাণ বরাদ্দসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাংশু কুমার সিংহ জানান, বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় নিপীড়িত জনগণের পাশে রয়েছে সরকার। দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ রয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন দুর্গত এলাকায় পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, জরুরি ওষুধপত্র, শুকনো খাবার ও চাল-ডাল বরাদ্দসহ জরুরি ত্রাণ তৎপরতায় সচেষ্ট রয়েছে।