বন্যায় গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত, লাশ দাফনেরও জায়গা নেই

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে যতদূর চোখ যায় শুধুই পানি আর পানি। বাড়ির আঙিনা, ফসলের মাঠ, কবরস্থান সব জায়গায় ডুবে আছে পানিতে। কোথাও এতটুকু শুকনো জায়গা নেই। ফলে এখন মানুষ মারা গেলে জানাজার কিংবা দাফন সব কিছুতেই বিপত্তি। আপাতত ভরসা রাখতে হচ্ছে কলাগাছের ভেলায়।

শনিবার রাতে মারা যান মোহনগঞ্জের পানুর গ্রামের বাসিন্দা ও আওয়ামী লীগকর্মী মানিক মিয়া (৩৮)। মৃত্যুর পর তার জানাজা পড়ার স্থান নিয়ে বাঁধে বিপত্তি। কারণ পুরো গ্রামই তলিয়ে আছে বন্যার পানিতে। পরে গ্রামবাসী সিদ্ধান্ত নেয় সমাজ এলাকার রাস্তায় জানাজা পড়ানো হবে। কিন্তু সেখানে লাশ নিয়ে যাওয়া ছিল আরও দুরূহ ব্যাপার।

সমস্যা সমাধানে বানানো হয় কলাগাছের ভেলা। আর সেই ভেলায় করে মানিকের লাশ নেওয়া হয় সমাজ গ্রামের রাস্তায়। রোববার সন্ধ্যায় জানাজা শেষে তার লাশ দাফন করা হয়।

মৃত মানিকের এক ছেলে ও দুই মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিজের অটোরিকশায় চার্জ দিতে গিয়ে শনিবার রাতে তার মৃত্যু হয়।

মোহনগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও পৌর মেয়র লতিফুর রহমান রতন বলেন, বন্যার পানিতে পানুর গ্রাম ডুবে যাওয়ায় মানিক মিয়ার জানাজা পড়তে সমস্যা হয়। খবর পেয়ে আমি সেখানে ছুটে যাই।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ