মাকে হত্যার দায়ে নাঈম ওরফে সাদ্দাম হোসেন (২৭) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন কিশোরগঞ্জের আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সায়েদুর রহমান খান জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামি নাঈমও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নাঈম জেলার বাজিতপুর উপজেলার গাজিরচর ইউনিয়নের সাদিরচর গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে।
মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, নাঈম ওরফে সাদ্দাম হোসেন নেশায় আসক্ত ছিলেন। নেশার টাকার জন্য বিভিন্ন সময়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতেন। ঘটনার দিন অর্থাৎ ২০১৮ সালের ১ আগস্ট সকালে তার মা রেহেনা খাতুনের (৬০) কাছে টাকা দাবি করেন নাঈম। এ সময় তার মা টাকা দিতে না চাইলে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন নাঈম। একপর্যায়ে হাত-পা বেঁধে বটি দিয়ে মায়ের গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায় নাঈম।
এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই ছেলেকে একমাত্র আসামি করে বাজিতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন বাবা নূরুল ইসলাম। ঘটনার পরদিন নাঈমকে বাজিতপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
২০১৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাজিতপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামসুল কবীর তদন্ত শেষে আদালতে আসামি নাঈমের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় দীর্ঘ সাক্ষী-জেরা ও শুনানি শেষে অপরাধ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের বিচারক মো. সায়েদুর রহমান খান এ রায় ঘোষণা করেন।
কিশোরগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (ভারপ্রাপ্ত পিপি) অ্যাডভোকেট আবু সাঈদ ইমাম মামলার এ রায়ের ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।