প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও দেবশ্রী রায়। একসময় বড় পর্দার সুপারহিট জুটি ছিলেন তারা। সেখান থেকেই প্রেম, তারপর বিয়ে। তিন বছরের দাম্পত্যের পর ১৯৯৫ সালে আলাদা পথে হাঁটেন দু’জন। সময় গড়িয়েছে, সম্পর্কের সমীকরণও বদলেছে। এই জুটি কি আর কখনো একসঙ্গে ফিরবেন না- সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে এমন প্রশ্নের মুখে পড়েন প্রসেনজিৎ।
তিনি জানান, এই মুহূর্তে দেবশ্রী রায়ের সঙ্গে কাজ করতে তার কোনও সমস্যাই নেই। তাদের একসঙ্গে কাজের কথাও হয়েছিল।
২০২১ সালে শোনা যায়, প্রাক্তন ২ সিনেমার মাধ্যমে পর্দায় ফিরতে পারেন দেবশ্রী–প্রসেনজিৎ জুটি। যদিও সেটি তখন শুধু গুঞ্জনেই সীমাবদ্ধ ছিল। এবার সেই গুঞ্জনেই সিলমোহর দিলেন প্রসেনজিৎ।
তিনি বলেন, “দেবশ্রী ও তার পরিবারের সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুবই নিবিড়। এর আগে আমাদের কাজ নিয়ে কথাও হয়েছে। নির্মাতা শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায় আমাদের সঙ্গে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তাকে নিয়ে ‘প্রাক্তন ২’ বানাতে চেয়েছিলেন। আশা করছি, খুব শিগগিরই ভালো কিছু খবর শোনাতে পারব।”
এর আগে বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে প্রসেনজিৎ বলেছিলেন, “দেবশ্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নিজেকে অনেকটা গুটিয়ে নিয়েছিলাম। দু’জনেই দু’জনকে দোষারোপ করছিলাম। কোনও কাজ করছিলাম না। বাংলার তখনকার লিডিং পত্রিকায় এক থেকে দশ সেরা অভিনেতার যে তালিকা হয়েছিল, তাতে আমার নাম ছিল না। পরে ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়েছে। টানা কাজ করেছি, সফলতাও পেয়েছি।”
প্রসেনজিতের ভাষায়, “দেবশ্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের সময় আমাদের বয়স কম ছিল। আমার বয়স তখন একুশ–বাইশ। বিচ্ছেদের পর খুব লজ্জা পেয়েছিলাম। নিজেকে প্রশ্ন করতাম, এবার কী হবে? লোকজন কী বলবে? কিন্তু সময়ের সঙ্গে ক্ষতও শুকোয়, অভিমানও কমে যায়। আজ এত বছর পর প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গে কাজ করতে আমার কোনও অসুবিধা নেই।”
প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালে দেবশ্রী রায়কে বিয়ে করেছিলেন প্রসেনজিৎ। ১৯৯৫ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। এরপর ১৯৯৭ সালে অপর্ণা গুহঠাকুরতাকে বিয়ে করেন; ২০০২ সালে সে সংসারও ভেঙে যায়। একই বছরে অর্পিতা পালকে বিয়ে করেন প্রসেনজিৎ। সূত্র: দ্য ওয়াল