মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন, ইউক্রেনে তিনি ‘প্যাট্রিয়ট’ ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাবেন। কতগুলো পাঠানো হবে সে তথ্য প্রকাশ না করলেও ট্রাম্প বলেছেন, তাঁর দেশ এটি পাঠাবে এবং অর্থ দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আরও প্রতিরক্ষা সক্ষমতা চেয়ে যে অনুরোধ করেছিলেন সেখানেও এই প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রের কথা ছিল। কিন্তু এই বিশেষ ক্ষেপণাস্ত্র কতটা কার্যকরী এবং এটি পেলে রাশিয়ার বিপরীতে ইউক্রেনের শক্তি কতটা বাড়বে? এসব তথ্য নিয়ে ব্যাখ্যামূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
‘প্যাট্রিয়ট’ ব্যবস্থা কী
প্যাট্রিয়ট মূলত একটি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলোর একটি, যা ৮০-এর দশক থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে। একটি সাধারণ প্যাট্রিয়টে থাকে রাডার ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ সরবরাহ ইউনিট, ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ যন্ত্র ও সহায়ক যানবাহন। প্যাট্রিয়ট ইন্টারসেপ্টরের ওপর নির্ভর করে শত্রু বিমান, ট্যাকটিক্যাল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ বা ধ্বংস করতে সক্ষম। সিরিজ-৩ এর প্যাট্রিয়ট লক্ষ্যবস্তুতে সরাসরি আঘাতের পাশাপাশি অনেক বেশি নিখুঁতভাবে কাজ করে। রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনকে ঠিক কোন ধরনের প্যাট্রিয়ট ব্যবস্থা সরবরাহ করা হচ্ছে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
ইউক্রেন কেন প্যাট্রিয়ট চায়?
রাশিয়ার নিয়মিত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা থেকে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও বেসামরিক এলাকা রক্ষায় কিয়েভ পশ্চিমা মিত্রদের কাছে থেকে বারবার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চেয়ে আসছে। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলছেন, রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান দূরপাল্লার হামলা থেকে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলো রক্ষার জন্য প্যাট্রিয়ট ব্যবস্থা অপরিহার্য।
এদিকে ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র দেয়ার বিষয়টিকে সরাসরি উত্তেজনা বাড়ানোর লক্ষণ হিসেবে দেখছে রাশিয়া। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা গত মে মাসে বলেছিলেন, ইউক্রেনকে আরও প্যাট্রিয়ট সরবরাহ করলে শান্তি প্রক্রিয়াও বিলম্বিত হবে।