অবৈধ অভিবাসীদের বহনকারী একটি গাড়িকে পুলিশের ধাওয়া করার সময় এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ছয়জন অভিবাসীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) গভীর রাতে কৃষ্ণ সাগর তীরবর্তী শহর বুর্গাসের রিং রোডে পুলিশ ও দ্রুতগামী স্কোডা ফ্যাবিয়া গাড়িটির মধ্যে উচ্চ গতির ধাওয়ার পর এই মর্মান্তিক পরিণতি ঘটে।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বর্ডার পুলিশ জানিয়েছে, রাত আনুমানিক ৯টা ২০ মিনিটে কিতেন শহরের কাছে তাদের কর্মকর্তারা অত্যন্ত দ্রুত গতিতে চলতে থাকা স্কোডা ফ্যাবিয়াটিকে শনাক্ত করেন। চালকসহ মোট দশজন আরোহীর মধ্যে নয়জনই অবৈধভাবে বুলগেরিয়ান সীমান্ত অতিক্রম করেছিলেন। মানব পাচারে অভিযুক্ত রোমানিয়ান চালক বারবার পুলিশের সংকেত উপেক্ষা করে গাড়িটিকে ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে ছোটাতে থাকে।
বর্ডার পুলিশের পরিচালক চিফ কমিশনার আন্তন জ্লাটানভ জানান, প্রায় ৩৪ মিনিট ধরে এই ধাওয়া চলে। পুলিশ স্পাইক স্ট্রিপসসহ একাধিক অবরোধ তৈরি করেও প্রাথমিকভাবে গাড়িটিকে আটকাতে ব্যর্থ হয়। চালক একটি চেকপয়েন্টে বেসামরিক গাড়িকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে পুলিশের কাজে বাধা সৃষ্টি করে। শেষ পর্যন্ত স্পাইক টেপ ব্যবহার করে চূড়ান্ত প্রচেষ্টার সময় স্কোডাটি রাস্তা থেকে ছিটকে গিয়ে একটি হ্রদে পড়ে যায়।
জরুরী পরিষেবা কর্মীরা চালক এবং আফগানিস্তানের নাগরিকসহ আরও তিন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করে বুর্গাসের হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে, গাড়ির ছয়জন যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান।
বর্ডার পুলিশের পরিচালক কর্মকর্তাদের পেশাদারিত্বের প্রশংসা করে বলেন, দ্রুতগামী গাড়িটি শনাক্ত করার পরই নির্দিষ্ট পদ্ধতি সক্রিয় করা হয়েছিল। তিনি বলেন, অভিবাসন চাপ কমার পরেও পাচারকারীদের মধ্যে আক্রমণাত্মক আচরণের বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। তবে, বুলগেরিয়ান কর্তৃপক্ষ গত বছরের তুলনায় অভিবাসন চাপ প্রায় ৭০ শতাংশ কমাতে সফল হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ট্র্যাজেডি রোধ করতে শিগগিরই ১ হাজার ২০০ নতুন অফিসার নিয়োগের পরিকল্পনাও তিনি তুলে ধরেন।