ইতালির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ চেম্বার অফ ডেপুটিসে ‘ডেকরেটো ফ্লুসি’ সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিল প্রথম পাঠে ছাড়পত্র পেয়েছে। এই বিলটি নিয়ে ১৩১টি ভোট পক্ষে, ৭৫টি বিপক্ষে এবং ৭টি ভোটদানে বিরত থাকার মধ্য দিয়ে অনুমোদন পেল। বিলটির পরবর্তী পদক্ষেপ হলো উচ্চকক্ষ সিনেটে আলোচনা ও অনুমোদনের জন্য পেশ করা।
বিলের মূল পরিবর্তনগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে পরিবার পুনর্মিলনের নিয়মে কঠোরতা আরোপ যা ক্ষমতাসীন লিগ দলের আনা সংশোধনীতে পাশ হয়েছে। লিগ দলের আনা ‘অর্ডিন ডি জর্নো’ পাশের ফলে এখন থেকে পরিবার পুনর্মিলনের মাধ্যমে ইতালিতে শুধুমাত্র বিবাহিত স্বামী/স্ত্রী এবং তাদের অপ্রাপ্তবয়স্ক নাবালক সন্তানরাই প্রবেশ করতে পারবেন।
এছাড়াও, পারিবারিক পুনর্মিলনের জন্য প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র, ‘নুলা ওস্তা’ ইস্যু করার সময়সীমা ৯০ দিন থেকে বাড়িয়ে ১৫০ দিন করা হয়েছে।
কাজের জন্য ‘নুলা ওস্তা’ ইস্যু করার ক্ষেত্রে সময়সীমা নির্দিষ্ট আবেদন জমা দেওয়ার মুহূর্ত থেকে সর্বোচ্চ ৩০ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। নিয়োগকর্তার পক্ষ থেকে কাজে নিযুক্ত করার নিশ্চয়তা দেওয়ার পূর্বশর্তটি এখন থেকে এন্ট্রি ভিসার আবেদনের সঙ্গে আর বাধ্যতামূলক থাকছে না। বিদেশে প্রশিক্ষণ ও শিক্ষামূলক কার্যক্রম শেষ করার পরে ভিসার জন্য আবেদন করার সময়সীমা পরীক্ষামূলকভাবে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৭ পর্যন্ত বারো মাস পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে যা কর্মীদের জন্য একটি স্বস্তির খবর।
মানব পাচার বা গুরুতর শোষণ এবং অবৈধ মধ্যস্থতা ও শ্রম শোষণের শিকার হওয়া বিদেশী নাগরিকদের জন্য বসবাসের পারমিটের মেয়াদ ৬ মাস থেকে বাড়িয়ে এক বছর করা হয়েছে। সামাজিক ও কর্মক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্তির সুবিধার জন্য পরবর্তীতে এই পারমিটগুলি বর্ধিত করারও সুযোগ রাখা হয়েছে।
সামাজিক সুরক্ষার অধীনে পারমিটধারী এবং গার্হস্থ্য সহিংসতার শিকার হওয়া ব্যক্তিরা ‘আসসেগনো ডি ইনক্লুসিওনে’ নামক আর্থিক সুবিধা পাওয়ার যোগ্য হবেন। এক্ষেত্রে নাগরিকত্ব, বাসস্থান এবং বসবাসের বিশেষ শর্তাবলী তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে না।
২০২৮ সাল পর্যন্ত সর্বাধিক ১০ হাজার বিদেশী কর্মীকে প্রতি বছর কোটা বহির্ভূত প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হবে। এই কর্মীরা পারিবারিক সহায়তা এবং সমাজসেবা-স্বাস্থ্যসেবা খাতে নিযুক্ত হবেন। বিশেষ করে প্রতিবন্ধী বা খুব বয়স্ক ব্যক্তিদের সেবা এবং জন্ম থেকে ছয় বছর বয়সী শিশুদের সেবার জন্য এই সুবিধা দেওয়া হবে।
এই আইনটি কার্যকর হওয়ার জন্য এখন ইতালির উচ্চকক্ষ সিনেটে অনুমোদন এবং সবশেষে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক স্বাক্ষরিত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।