ফারহানা হোসেন:বাঙালির কাছে একটা জিনিস চাওয়া যাবে না। তাহলো ভালো কাজের প্রশংসা। এরা শুধুমাত্র প্রোপিকে ধুমাইয়া প্রশংসা করে। আর কোথাও না। কারো ছিদ্র থাকলে সেটা দশজনরে ডেকে দেখায়। কিন্তু কারো ভালো কাজ নিয়ে দুটো কথা বলা এদের জন্য অসম্ভব।
এদেশে একজন রাজনীতিবিদ আরেকজন রাজনীতিবিদকে নিয়ে দুটো ভালো কথা বলে না। একজন লেখক আরেকজন লেখকের বই পড়ে না। একজন কবি আরেকজন কবিকে নীচুমানের গালি দেয়। একজন গায়ক আরেকজন গায়কের কাপড় পর্যন্ত খুলে নেয়। নায়ক নায়িকার প্রসঙ্গ আনলাম না। মহাভারত হয়ে যাবে। একজন উঠতি নেতাকে কথা বলার জন্য ভালো প্ল্যাটফর্ম দেয় না। একজন প্রকাশক তার লেখকের সাথে সত্য বলে না। একজন বিক্রেতা পর্যন্ত কথায় কথায় মিথ্যা বলে।
সেই দেশে শেখ হাসিনা টাকা যোগাড়যন্ত্র করে পদ্মাসেতু করে ফেলেছেন। এখন ধনী গরীব,হিন্দু মুসলমান সেই সেতুর ওপর দিয়ে গড়ায় বা দৌড়ায় বা হেঁটে যেভাবে হোক যাবেই। কিন্তু এটা যে তাঁর কৃতিত্ব সেটা বলা যাবে না। বললেই তারা মাইন্ড করে ফেলছে। তাদের টাকায় করা সেতুর নাম প্রধানমন্ত্রী নিজের নামে দেবেন – এটা কেমন কথা। সেটাও অবশেষে হচ্ছে না। পদ্মার নাম পদ্মাই থাকছে। তবু মন ভরছে না। তারা এখন সুনাম করলেই লীগের লেঞ্জা বলে সন্দেহ করছে।
সুতরাং প্রশংসাপত্র বারকয়েক ছিঁড়ে ফেললাম। কিন্তু একটা দাবীতো করা যেতে পারে, যারা সেতু দিয়ে পার হবে তারা যাওয়ার সময়ে একটা প্রশংসাপত্রে স্বাক্ষর করে যাবে।
সেতু দিয়ে পার হতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। কিন্তু পার হতে হলে সামান্য কৃতজ্ঞতা দেখাতে দোষ কি!
*লেখাটি ফারহানা হোসেনের ওয়াজ থেকে নেয়া*
