যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর নীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। আয়োজকদের দাবি এতে কয়েক লাখ মানুষ অংশ নেন। তারা ‘রাজতন্ত্র নয়, গণতন্ত্র’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে নানা স্লোগান দেন।
স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি, শিকাগো, ফ্লোরিডা ও ক্যালিফোর্নিয়াসহ প্রায় সব অঙ্গরাজ্যেই এই বিক্ষোভ হয় বলে জানিয়েছে এএফপি। প্রতিবাদ কর্মসূচির শিরোনাম ছিল ‘নো কিংস’।
ট্রাম্পের দল রিপাবলিকানরা এই কর্মসূচিকে ‘আমেরিকা বিরোধী’ হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছে। আয়োজকদের দাবি, নিউ ইয়র্ক সিটি থেকে লস অ্যাঞ্জেলেস পর্যন্ত, এমনকি ট্রাম্পের ফ্লোরিডার বাসভবনের কাছেও বিক্ষোভ হয়েছে। প্রায় ৭ মিলিয়ন মানুষ কর্মসূচিতে যোগ দেন।
ওয়াশিংটন ডিসিতে বিক্ষোভ হয় ক্যাপিটল ভবনের সামনে। যদিও শাটডাউনের কারণে ক্যাপিটল ভবন তৃতীয় সপ্তাহের মতো বন্ধ আছে। সেখানে বিক্ষোভকারীরা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ক্ষমতা ছাড়ার দাবি জানিয়ে স্লোগান দেন। অংশগ্রহণকারীদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডগুলোতে লেখা ছিল, ‘গণতন্ত্র রক্ষা করতে হবে’, ‘ট্রাম্পকে বিদায় নিতে হবে’। কিছু ব্যানারের লেখায় অভিবাসনবিরোধী অভিযান চালানো ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট’ সংস্থা বিলুপ্তির দাবি জানানো হয়।
বিক্ষোভকারীরা রিপাবলিকান বিলিয়নিয়ার ডোনাল্ড ট্রাম্পের একনায়কসুলভ নীতি- বিশেষ করে গণমাধ্যম, রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ও অনিবন্ধিত অভিবাসীদের ওপর আক্রমণের সমালোচনা করেন।
নিউ ইয়র্কে মিছিলে অংশ নেওয়া ৬৯ বছর বয়সী কলিন হফম্যান নামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘কখনও ভাবিনি যে আমার জীবদ্দশায় দেশের গণতন্ত্র মরে যেতে দেখব।’
বিবিসি জানিয়েছে, বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে কোনও অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।