রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী ও তাদের কর্মীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের হওয়া তিন মামলায় পুলিশকে তদন্ত করার জন্য দেড় মাস সময় দিয়েছেন আদালত। আগামী ৭ জুন দিন এসব মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে হবে পুলিশকে।
বৃহস্পতিবার মামলাগুলোর এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিল করতে ঢাকা মহানগর হাকিম শুভ্রা চক্রবর্তী এ আদেন দেন।
তিন মামলার দুটি দায়ের করেছে পুলিশ। তারমধ্যে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের একটি মামলার বাদী হলেন নিউমার্কেট থানার এসআই মেহেদী হাসান। একই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়ামিন কবির দাঙ্গা-হাঙ্গামা, জ্বালাও-পোড়াও, পুলিশের কাজের বাধা দেওয়ার অভিযোগে আরেকটি মামলা করেছেন। আর সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে নিহত ডেলিভারিম্যান নাহিদ মিয়ার চাচা মো. সাঈদ দায়ের করেছেন একটি হত্যা মামলা।
এই তিন মামলায় শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ প্রায় ১৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত ১৮ এপ্রিল দিবাগত রাত ১২টায় নিউমার্কেট ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়ান। পরদিন মঙ্গলবারও দিনভর থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে। মঙ্গলবার রাতে দুপক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে আহত নাহিদ (১৮) নামে এক তরুণ চিকিৎসাধীন মারা যান। বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সংঘর্ষে আহত দোকানী মোরসালিন (২৬)।
এই সংঘর্ষের ঘটনায় উসকানি দেওয়ার তথ্য পেয়েছে পুলিশ। পরে পুলিশ বাদী হয়ে ওই দুটি মামলা দায়ের করেছে।
সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে জখম ও ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় নিউমার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেনকে ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে। ওই মামলায় মকবুল ছাড়াও আরও ২২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন আমির হোসেন আলমগীর, মিজান, টিপু, হাজি জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী, হাসান জাহাঙ্গীর মিঠু, হারুন হাওলাদার, শাহ আলম শন্টু, শহিদুল ইসলাম শহিদ, মিজান ব্যাপারী, আসিফ, রহমত, সুমন, জসিম, বিল্লাল, হারুন, হেহা, মনির, বাচ্চু, জুলহাস, মিঠু, মিন্টু ও বাবুল।
পুলিশের নিউমার্কেট অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহেনশাহ মাহমুদ গণমাধ্যমকে জানান, গোয়েন্দা তথ্য ও সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এজাহারে আসামিদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।