নাপা সিরাপে ক্ষতিকর কিছু পায়নি ঔষধ প্রশাসন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে অস্বাভাবিক মৃত্যু হওয়া দুই শিশুকে যে নাপা সিরাপ খাওয়ানো হয়েছে সেই ব্যাচের সিরাপ ঝুঁকিমুক্ত ও মানসম্মত ছিল বলে জানিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

সোমবার মহাখালীতে অধিদপ্তরের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ।

তিনি বলেন, অভিযুক্ত দোকান থেকে বেক্সিমকোর তিনটি ব্যাচের আটটি সিরাপের মান পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ওষুধের গুণগত মান সঠিক ছিল। আটটি বোতলের সবগুলোতেই ফল পজিটিভ এসেছে। এসব সিরাপে ক্ষতিকর কিছু পাওয়া যায়নি।

গত বৃহস্পতিবার রাতে আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে নাপা সিরাপ খেয়ে ইয়াছিন খান (৭) ও মোরসালিন খান (৫) নামে দুই শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠে। এ ঘটনার পর শুক্রবার রাত থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি সকল ফার্মেসিতে সাময়িক সময়ের জন্য নাপা সিরাপ বিক্রি বন্ধ ঘোষণা করে।

শুক্রবার রাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে ৩ সদস্য বিশিষ্ট পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের কমিটিতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মহিউদ্দিনকে প্রধান করে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন- কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসাইন ও ফেনীর সিভিল সার্জন ডা. রফিক-উস-ছালেহীন।

অপরদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুপুর সাহাকে প্রধান করে তিন সদস্যের পৃথক আরেকটি পরিদর্শন কমিটি করা হয়।

ব্যবহৃত ওষুধটি নকল ছিল কি না- সে বিষয়ে এখনো কিছু জানাতে পারেনি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

এ বিষয়ে মহাপরিচালক বলেন, দুই শিশু মারা যাওয়ার পর ব্যবহৃত ওষুধটি পুলিশের সিআইডিতে চলে গেছে। তাদের ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর প্রতিবেদন এলে জানা যাবে শিশুদের মৃত্যুর পেছনে ওই সিরাপের কোনো ভূমিকা ছিল কি না।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ