দ্বিতীয়ার্ধেরও শুরু থেকেই স্পেনের সঙ্গে সমানতালে লড়াই করছে মরোক্কো। এই অর্ধে ৫৪ মিনিটে একটি সুযোগ পেয়েছিলেন ফেরান তোরেস। কিন্তু তার নেওয়া শট ডানকোণা থেকে ধরে ফেলেন মরোক্কোর গোলরক্ষক ইয়াসিন বাউনু।
স্পেনের চেয়ে ভালো খেলেও প্রথমার্ধে গোল পেল না মরোক্কো:
স্পেন-মরোক্কোর শেষ ষোলোর লড়াইয়ের প্রথমার্ধ শেষ হয়েছে। এই অর্ধে অবশ্য গোল পায়নি কেউ। তবে স্পেনের চেয়ে বেশি সুযোগ তৈরি করেছে মরোক্কো। তারা তিনটি শট নিয়েছিল গোলপোস্টের দিকে। তার মধ্যে একটি ছিল অনটার্গেটে। অন্যদিকে স্পেন অন টার্গেটে কোনো শটই নিতে পারেনি।
তবে ৬৯ শতাংশ বলের দখল ছিল তাদের কাছে। ৩১ শতাংশ ছিল মরোক্কোর কাছে। স্পেন ১০টি ফাউল করেছে। আর মরোক্কো করেছে ৩টি। স্পেন একটি কর্নার পেলেও মরোক্কো পায়নি একটিও।
অল্পের জন্য মরোক্কোর গোল মিস:
৪২ মিনিটে দারুণ একটি আক্রমণ শানিয়েছিল মরোক্কো। এ সময় বামদিক থেকে সতীর্থের বাড়িয়ে দেওয়া বল পেয়ে যান নায়েফ আগুয়ের্ড। তিনি হেড নেন। বারের ডানকোণা সামান্য উপর দিয়ে বল বাইরে চলে যায়।
মরোক্কোর সুযোগ মিস:
ম্যাচের ৩৩ মিনিটে মরোক্কোর মাজরাউই বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নিয়েছিলেন। তার নেওয়া শট সরাসরি স্পেনের গোলরক্ষক ইউনাই সিমনের কাছে যায়। তিনি সেটা রুখে দেন।
স্পেনের অফসাইড আর সুযোগ মিস:
ম্যাচের ২৫ মিনিটে দারুণ একটি সুযোগ পেয়েছিলেন ফেরান তোরেস। তার নেওয়া শট মরোক্কোর গোলরক্ষক ইয়াসিন বাউনু ধরতে পারেননি। কিন্তু বল গিয়ে বারে লেগে ফিরে আসে। সেটাতে আবার শট নেন দানি অলমো। এবার চলে যায় ওপর দিয়ে। কিন্তু আগেই অফসাইড হয়েছিলেন তোরেস।
বক্সের সামনে ফ্রি কিক পেল মরোক্কো:
ম্যাচের ১২ মিনিটে ডি বক্সের সামান্য সামনে ফ্রি কিক পায় মরোক্কো। কিক নেন আচরাফ হাকিমি। কিন্তু তার নেওয়া কিক উপর দিয়ে চলে যায়।
মরোক্কো-স্পেন লড়াই শুরু:
বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে মরোক্কো ও স্পেন। এজুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শুরু হয়েছে ম্যাচটি।
মরোক্কোর শুরুর একাদশ:
ইয়াসিন বাউনু, রোমেন সাইস, নায়েফ আগুয়ের্ড, নওসাইর মাজরাউই, আচরাফ হাকিমি, সোফিয়ান আমরাবাত, সেলিম আমাল্লাহ, আজেদিন ওনাহি, ইউসুফ এন-নেসিরি, সোফিয়ান বাউফল ও হাকিম জিয়েখ।
স্পেনের শুরুর একাদশ:
উনাই সিমন, আইমেরিক ল্যাপোর্তে, রদ্রি, জর্ডি আলবা, মার্কোস লোরেন্তে, সার্জিও বুসকেটস, পেদ্রি, গাভি, মার্কো অ্যাসেনসিও, দানি ওলমো ও ফেরান তোরেস।
স্পেন ফেভারিট হলেও মরোক্কো রূপকথার জন্ম দিতে চায়।
দুই দল সব মিলিয়ে তিনবার মাঠে লড়াই করেছে। যেখানে দুটি জিতেছে স্পেন, একটি ড্র গত বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে। ২০১০ সালের পর প্রথমবার শেষ ষোলোর বাধা তারা পেরোতে পারে কি না, সেটাই দেখার অপেক্ষা।