জিএম কিবরিয়া: ইতালিতে নেতা তৈরির কারিগর

মন্তব্য প্রতিবেদন: এক সময় টেলিভিশনে একটি অনুষ্ঠান ছিল””বিলিভ ইট অর নট”-আপনি বিশ্বাস করেন বা নাই করেন। তেমনি ইতালির সমাজনীতি এবং রাজনীতিতে জি এম কিবরিয়ার নামের আগে ওই কথাটি যথাযোগ্য। ইতালিতে আওয়ামী লীগের যত নেতৃত্ব তৈরি হয়েছে বিশেষ করে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক-সেখানে জি এম কিবরিয়ার হাত ছিল না এমন তথ্য এখনও পাওয়া যায় না। ২৬ বছরের ইতালির জীবনে এই প্রতিবেদক তেমনটিই দেখেছেন। রাজনীতির মাঠে তিনি কোন গুরুত্বপূর্ণ পদ গ্রহণ করেননি অথবা চাননি ইতালিতে। তবে জনাব কিবরিয়া যাকে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক চেয়েছেন তিনিই হয়েছেন ইতালি আওয়ামী লীগের নেতা। মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব হোসেন ১৯৮৯ সাল থেকে টানা ২৩ বছর ইতালি আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ২০১২ সালের ২৩ শে সেপ্টেম্বর ভিন্ন আঙ্গিকে অনুষ্ঠিত ইতালি আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলে জনাব মাহতাব হোসেনের অনুপস্থিতিতে নতুন নেতৃত্ব তৈরি হয়।এবং এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায় ওই নতুন নেতৃত্ব জি এম কিবরিয়ার হাত দিয়েই এসেছে। তারপর দীর্ঘ প্রায় ১১ বছর অতিবাহিত হল। গেল বছর ২৮ অক্টোবর বর্ণাঢ্য কাউন্সিল অধিবেশনের মধ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব হোসেন এবং তরুণ নেতৃত্ব আলমগীর হোসেনের হাতে তুলে দেন ইতালী আওয়ামী লীগের দায়িত্ব । আগের মত এবারও ছিলেন তিনি ইতালি আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক। যতদূর জানা যায়, ইতালি আওয়ামী লীগের গোড়াপত্তন থেকেই তিনি এই দায়িত্বটি পালন করে আসছেন।জনাব কিবরিয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা যখন তিন সদস্যের সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ গঠন করেন, জনাব কিবরিয়া ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক। শুধু তাই নয়, ইতালির রাজনীতি সমাজনীতির কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ব্যক্তিগতভাবে জানেন। রাজনীতির বাইরে তার যে আরেকটি পরিচয় রয়েছে, সেটি হল তিনি দীর্ঘদিন বাংলাদেশ সমিতি ইতালির সভাপতি দায়িত্ব পালন করেছেন। ওই দায়িত্ব পালনকালে তিনি রাজধানীর রোমে প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিশাল বিক্ষোভ কর্মসূচিরও নেতৃত্ব দেন।সকল ইমিগ্রেশন আন্দোলনে তিনি ছিলেন বাংলাদেশী নাগরিকদের মধ্যমণি। বহু বাংলাদেশী অবৈধ থেকে বৈধতার সুযোগ পেয়েছেন জনাব কিবরিয়ার সহযোগিতায়। তারা আজও তাকে স্মরণ করেন। জিএম কিবরিয়ার প্রতি তাই আমাদের শ্রদ্ধা ভালোবাসা এবং শুভকামনা থাকে সব সময়।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ