‘জমে থাকা গ্যাস থেকে সায়েন্স ল্যাবে বিস্ফোরণ’

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেছেন, সায়েন্স ল্যাবের বিস্ফোরণের ঘটনা দুর্ঘটনা, এটা মেসিভ দুর্ঘটনা। এটা অন্য কোনো কারণে ঘটেছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত নাশকতার আলামত মেলেনি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, দীর্ঘদিন জমে থাকা গ্যাসের কারণে এই বিস্ফোরণ।

সোমবার (৬ মার্চ) সকালে মিরপুর ডিওএইচএস’এ পল্লবী ফায়ার স্টেশন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন।

সায়েন্স ল্যাবের বিস্ফোরণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনা নাকি অন্য কারণে সায়েন্স ল্যাবের ঘটনা তা জানতে আমি সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছিলাম। তারা একটি টিম পাঠিয়েছিলো। তারা সেখানে কাজ করেছেন। তাদের বোম ডিসপোজাল টিম জানিয়েছে, সেখানে নাশকতা বা বিস্ফোরক জাতীয় কিছু থেকে বিস্ফোরণের আলামত পাওয়া যায়নি। আমাদের জানা মতে, নাশকতার কোনো আলামত পাইনি। এটা এখন পর্যন্ত তদন্তাধীন। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, সম্ভবত অনেকদিন এক জায়গায় জমে থাকা গ্যাস থেকে কোনো কারণে বিস্ফোরণের সূত্রপাত।’

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, ‘সরকার ক্যামিকেল গোডাউন সরানোর উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারের নির্দেশনার পর নতুন করে ফায়ার সার্ভিস কিংবা সিটি করপোরেশন কেউই কাউকে ক্যামিকেল গোডাউন করা বা কারখানা স্থাপনের জন্য পুরান ঢাকায় কোনো এনওসি বা অনুমতি দিচ্ছি না। সেখানে এখন যা হচ্ছে সম্পূর্ণ অবৈধ। আমার বা ফায়ার সার্ভিসের কাজ হলো তদন্ত করা, মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করা। পুরান ঢাকায় কেন এখনও ক্যামিকেল গোডাউন, কারখানা কিংবা বিক্রি হচ্ছে সেসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দপ্তর ভালো বলতে পারবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের রয়েছে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। আমরা বিদেশেও সফলতার স্বাক্ষর রেখেছি। আমাদের ফায়ার সার্ভিস তুরস্কেও ভূমিকম্পে হতাহতদের উদ্ধারে কাজ করেছে। আমাদের প্রত্যেকটি ফায়ার ফাইটার প্রশিক্ষিত। আমাদের জনবলকে আরও দক্ষ ও প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে। ভলান্টিয়ারদেরও আমরা প্রশিক্ষণ দিচ্ছি।’

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ