জনগণের টাকায় ২১শে ফেব্রুয়ারি রোম দূতাবাসে পিকনিকের আমেজে উৎসব”-মাস্টার আবুল বাশার মালত

ডেস্ক রিপোর্ট: ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবার অমর একুশে
দূতাবাসে “পিকনিকের আমেজ”উৎসব করেছেন বলে, ফেসবুকে লিখেছেন, ইতালির লেখক মাস্টার আবুল বাশার মালত। স্বদেশ বিদেশের পাঠকের জন্য আমরা তা হুবহু তুলে ধরলাম:“”প্রবাসীরা রেমিট্যান্স যোদ্ধা। দেশের অর্থনৈতিক চালিকা শক্তির এক অন্যতম বাহক ও কর্নধার এই প্রবাসী নামক রেমিট্যান্স যোদ্ধারা। কিন্তু এই রেমিট্যান্স যোদ্ধারা মাতৃভূমি, প্রবাস এবং সরকার যন্ত্রের দ্বারা প্রতিনিয়ত অবজ্ঞা ও বঞ্চনার শিকারে পরিনত হচ্ছে। স্কুল জীবনে পাঠ্য বইতে পড়েছি, “কাজির গরু পুঁথিতে আছে, গোয়ালে
নাই।” তদ্রূপ রেমিট্যান্স যোদ্ধা নামধারী প্রবাসীদের বন্দনা শুধু নেতা, মন্ত্রী, আমলা, সুশীল বুদ্ধিজীবীদের বক্তৃতা বিবৃতি ও টকশোতে বিদ্যমান। বাস্তবে প্রবাসীরা শুধু প্রতারিত হয়েই যাচ্ছে। আমরা এর ভুরি ভুরি প্রমান দিতে পারবো। যাক, আমাদের গুনগান গেয়ে আমি আমার পাঠকদের ধৈর্যচ্যুতি ঘটাবোনা।
আমার আজকের এই লেখার উদ্দেশ্য ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ তারিখে, মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে উপলক্ষ করে ইতালিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস,- বাংলাদেশ সরকার, বাংলাদেশের জনগন ও প্রবাসীদের টাকার বিনিময়ে দূতাবাসে, দূতাবাসের স্টাফদের নিয়ে এক পিকনিক পিকনিক খেলা খেলবে। ( ইতালির রাজনৈতিক, সামাজিক নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ জনগনের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ।) মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং ইউনেস্কো মহাসচিবের বানী ও আহবান থেকে প্রবাসী বাংলাদেশী জনগন, জনপ্রতিনিধি, সম্মানিত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে বঞ্চিত করে, দূতাবাস কর্মকর্তাগন পিকনিকের আমেজে অসংখ্য বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় করবে, তার কি কোন জবাবদিহিতা নাই??
মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং ইউনেস্কো মহাসচিবের বানী যদি শুধুমাত্র দূতাবাসের স্টাফদের জন্য সংরক্ষিত হয়ে থাকে, তাহলে সেই বানীতো নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দিলেই দূতাবাস স্টাফরা পাঠ করে নিতে পারতেন, অথবা দূতাবাস অফিসিয়াল ভাবে স্টাফদের ব্রিফ করতে পারতেন, তার জন্য পাবলিকলি বিজ্ঞাপন দিয়ে, জনগন ও জনপ্রতিনিধিদের সাপের পাঁচ পা দেখিয়ে সরকার ও জনগণের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে স্টাফদের পিকনিকের আমেজে উৎসব পালন করার কোন প্রয়োজন ছিল কি?
আমরা মনে করি প্রবাসে বাংলাদেশী দূতাবাস যতগুলি জাতীয় অনুষ্ঠান পালন করবে, তা হতে হবে প্রবাসী জনগনের জন্য।
আমাদের একটা কথা বোধগম্য হয় না, জনগনের জন্য সরকার, নাকি সরকারের জন্য জনগন? মানুষের জন্য আইন, নাকি আইনের জন্য মানুষ?
জনগনকে বোকা বানানোর এই নীতির কি অবসান হবেনা??””

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ