জুটিতে ফিফটি সাকিব তামিমমের। চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের ম্যাচে হাল ধরেছেন সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। তাদের ব্যাটে প্রাথমিক ধকল সামাল দেয় বাংলাদেশ।
৩২৭ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। ৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়া দলকে খেলায় ফেরান সাকিব-তামিম।
এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ১৬.২ ওভারের খেলা শেষে ৩ উইকেটে ৬৮ রান। ২৩ ও ২৮ রানে ব্যাট করছেন তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান।
শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ৩২৬ রান করে ইংল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৩২ রান করেন ওপেনার জেসন রয়। ৭৬ রান করেন জস বাটলার।
এদিন মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে সফরকারী ইংল্যান্ড দলকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ২৫ রানে উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। তাসকিন আহমেদের বলে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ফিল সল্ট। সাজঘরে ফেরার আগে ১৫ বলে ৭ রান করার সুযোগ পান এই তারকা ওপেনার।
এরপর ডেভিড মালানকে সঙ্গে নিয়ে ৫৪ বলে ৫৮ রানের জুটি গড়েন ওপেনার জেসন রয়। ১৫.৩ ওভারে দলীয় ৮৩ রানে মেহেদি হাসান মিরাজের বলে আউট হন প্রথম ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করে ইংল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করা ডেভিড মালান। তাকে ১১ রানের বেশি করতে দেননি মিরাজ।
দলীয় ৯৬ রানে তাইজুল ইসলামের বলে আউট হন জেমস ভিন্স। ফিল সল্ট, ডেভিড মালান ও জেমস ভিন্সরা আসা-যাওয়ার মিছিলে অংশ নিলেও উইকেট কামড়ে ব্যাটিং করে যান ওপেনার জেসন রয়। তাকে সাজঘরে ফেরান সাকিব আল হাসান।
সাকিবের বলে সুইপ করতে গিয়ে মিস করে এলবিডব্লু হন জেসন রয়। সাজঘরে ফেরার আগে ১২৪ বলে ১৮টি চার আর একটি ছক্কার সাহায্যে ১৩২ রান করেন ইংলিশ এই তারকা ওপেনার।
ফিল সল্টের পর উইল জ্যাকসকে সাজঘরে ফেরান তাসকিন আহমেদ। তার শর্ট বলে শর্ট মিডউইকেটে সাকিব আল হাসানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন জ্যাকস। তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ৩৬.৪ ওভারে ২০৮ রানে ৫ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।
মেহেদি হাসান মিরাজের দুর্দান্ত ক্যাচে সাজঘরে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার। জেসন রয় আউট হওয়ার পর একের এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন বাটলার। তাকে দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত করেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
নিজের বলে নিজেই ফিল্ডিং করে বাটলারকে ফেরান মিরাজ। ৪৩.৩ ওভারে ২৬০ রানে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন বাটলার। তার আগে ৬৪ বলে ৫টি চার আর দুই ছক্কার সাহায্যে ৭৬ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন বাটলার।
তাসকিনের লো ফুলটসে টাইমিংটা করতে পারেননি মঈন আলি। স্কয়ার লেগে ওঠা ক্যাচিটি লুফে নেন লিটন দাস। ৩৬ বলে ৪২ রান করে থামেন মঈন। তার বিদায়ে ৪৭.৪ ওভারে ২৯৯ রানে সপ্তম উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।
ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত খেলে ১৯ বলে ২ চার আর তিন ছক্কায় ৩৩ রানের ঝরো ইনিংস খেলে দলকে ৩২৬ রানে নিয়ে থামান স্যাম কারান।
বাংলাদেশ দলের হয়ে ১০ ওভারে সর্বোচ্চ ৭৩ রান খরচ করে ২ উইকেট শিকার করেন মিরাজ। ৬৬ রানে ৩ উইকেট নেন তাসকিন। ৬৪ রানে ১ উইকেট শিকার করেন সাকিব। ৬৩ রানে কোনো উইকেট পাননি মোস্তাফিজ। ৫৮ রানে ১ উইকেট শিকার তাইজুলের।