গভীর রাতে রোম দূতাবাসের হাস্যকর কান্ড!!

ডেস্ক রিপোর্ট: শুক্রবার মধ্যরাত পেরিয়ে গেছে। হঠাৎ করেই হোয়াটসঅ্যাপে নোটিশ। একটি গ্রুপে এই প্রতিবেদকসহ আরো কিছু সাংবাদিককে যুক্ত করে গ্রুপটি তৈরি করা হয়েছে। যে নাম্বার থেকে যুক্ত করা হয়েছে সেই নাম্বারটি রোম দূতাবাসের। যাদেরকে যুক্ত করা হয়েছে তাদের মধ্যে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন!!
বলা নেই কওয়া নেই, তাও আবার গভীর রাতে এমন একটি গ্রুপে যুক্ত করে রোম দূতাবাস কি বুঝাতে চাইছেন?
কেউ কেউ প্রশ্ন করেছেন বর্তমান রাষ্ট্রদূত মোঃ শামীম আহসানের দূতাবাস কি গভীর রাতেও খোলা থাকে? প্রবাসী বাংলাদেশী সেবা প্রার্থীরা প্রতিদিনই হয়রানির মুখোমুখি হচ্ছেন দূতাবাসে গিয়ে। কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুর্ব্যবহারের শিকার হচ্ছেন রেমিটেন্স যোদ্ধারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব প্রকাশিত হচ্ছে।
করোনাকালে রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান ভার্চুয়াল মাধ্যমে বন্দি ছিলেন। অথচ কিছু ব্যক্তি ঠিকই তার দূতাবাসের সাদর সম্ভাষণ পাচ্ছেন। মুখে মাক্স ব্যবহার করে জনাব শামীম তাদের সাথে ছবিও তুলছেন। মাক্স এর কারণে ছবিগুলোতে হাসিমুখে ছিলেন কিনা বুঝা যায়নি।
দূতাবাস ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশী শিশুদের নিয়ে ভয়াবহ করোনার মধ্যেও নাচ গানের আয়োজন করেছেন। বিভিন্ন দিবসে আয়োজিত অনুষ্ঠানগুলোতে দূতাবাস ভবনে বহু লোকের উপস্থিতির ছবি সাংবাদিকদের সরবরাহ করা হলেও, আমন্ত্রণ জানানো হয়নি একজন সাংবাদিককেও। দীর্ঘদিনের গড়ে তোলা বাংলাদেশ কমিউনিটির শীর্ষ নেতাদের কাউকেই তিনি আমন্ত্রণ জানাননি ‌। তারাও হয়েছেন অবহেলিত।
গেল স্বাধীনতা দিবসে বিদেশি কূটনীতিকদের সম্মানে একটি অভ্যর্থনার আয়োজন করা হয় রোমের পাঁচ তারকা হোটেলে। সেখানেও উপেক্ষা করা হয়েছে কমিউনিটির শীর্ষ নেতা এবং সাংবাদিকদের। তবে শামীম আহসান তার স্বজন এবং কর্মচারীদের সাথে ছবি তোলার জন্য এক বিদেশীকে ভাড়া করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই ফটোগ্রাফার রাষ্ট্রদূতদের স্বজনদের সাথে হাসিমুখে ছবি তোলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও ছেড়েছেন।
বিশাল কূটনীতিক এবং বলা যায় একজন সফল কূটনীতিক শামীম আহসান “ওপেন ডে””নাম দিয়ে তার সরকারি বাসভবনে ঈদ উৎসবের আয়োজন করেছিলেন। কিন্তু সেই ওপেন ডে তার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। তবে “”মিডিয়াবান্ধব””দাবিদার এই রাষ্ট্রদূত প্রচারণার ক্ষেত্রে বেশ পারদর্শী। নিজের ফেসবুক আইডি থেকে শুরু করে দূতাবাসের আইডিতে তথাকথিত ওপেন ডে’র ছবিও ছেড়েছেন।যাক, ফিরে আসি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের প্রসঙ্গে। দূতাবাস গ্রুপ তৈরি করে “তোপের মুখে”গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গেলো। পরবর্তীতে কোনো নোটিশ না দিয়ে রাত ১২ টা ৩৭ মিনিটে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠালেন- সাংবাদিকদের-শনিবার ভার্চুয়াল মিটিং হবে, জানিয়ে। বাংলা নতুন বছর উদযাপন এবং রবীন্দ্র নজরুল জয়ন্তী উপলক্ষে এ আমন্ত্রণ ভার্চুয়াল জগতে।সাংবাদিকদের দিনের পর দিন অবজ্ঞা করে চলা রোম দূতাবাস আবারো সাংবাদিকদের ভার্চুয়াল মিটিংয়ে ডেকেছে-তাও গভীর রাতে!!
বিষয়টি একেবারেই হাস্যকর নয় কি?

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ