কোহলি-বাববের হ্যান্ডশেক, সেই স্মৃতি মনে করিয়ে দিল মুশতাককে

বর্তমান সময়ে বিশ্বসেরা ব্যাটার কে— বিরাট কোহলি না বাবর আজম? এই বিতর্কের প্রশ্নহীন সমাধান খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তবে দুজনই যে দুই দলের বড় সম্পদ এটি একবাক্যে সবাই মেনে নেবেন।

হাজার দিন ধরে সেঞ্চুরির দেখা পাননি বিরাট কোহিল। এ সময়ের মধ্যে তার উইলো থেকে হাফসেঞ্চুরিও হাতেগোনা। অন্যদিকে দীর্ঘ সময় ধরে ফর্মের তুঙ্গে থাকা বাবর আজম সেঞ্চুরি, হাফসেঞ্চুরি হাঁকাচ্ছেন ভূরি ভূরি। সর্বশেষ ১১ ওয়ানডের ৯টিতেই পঞ্চাশের ঘর ছুঁয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক।

এর পরও পাকিস্তান কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরামের মতে, এখনো বিরাট কোহলির পর্যায়ে পৌঁছাননি বাবর আজম, আরও সময় লাগবে। আবার কোনো কোনো লিজেন্ট বিরাট কোহলিকে বাবরের কাছাকাছিও মানতে নারাজ।

এদিকে ফর্মহীন কোহলি এশিয়া কাপে নিজেকে ফিরে পান কিনা সেটি দেখতে মুখিয়ে ভারতীয়রা। বিশেষ করে প্রথম ম্যাচেই পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে ভারত।

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ যত ঘনিয়ে আসছে, কোহলি-বাবরের ব্যাটিং লড়াই দেখার অপেক্ষাও সমর্থকদের মধ্যে তত বাড়ছে।

এমন উত্তেজনাময় পরিস্থিতির মধ্যেই এক দফা দেখা হয়ে গেল কোহলি-বাবরের। তারা মুখ ফিরিয়ে নেননি। হ্যান্ডশেক করলেন। কুশলাদি বিনিময় করেছেন।

কী কথা হয়েছে তাদের মধ্যে, তা আপাতত কেউ না জানলে গোটা ঘটনাটি মনে ধরেছে ক্রিকেটপ্রেমীদের।  নেতিবাচক সম্পর্ক এবং দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা সত্ত্বেও, এ দুই ক্রিকেটার একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রেখেছেন তা অবশ্যই প্রশংসনীয়।

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই মহাতারকার এমন সৌহার্দ হৃদয় ছুঁয়ে গেছে পাকিস্তান দলের কোচ সাকলাইন মুশতাকের।

এ ঘটনায় ২০১৫ সালে করা একটি টুইট মনে করিয়ে দিয়েছে সাকলাইনকে।  সে সময় অল-স্টার গেমে শচিন, শেন ওয়ার্নসহ বেশ কিছু কিংবদন্তি এবং তিনি নিজে অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে ভারত ও পাকিস্তানের পতাকাগুলো একসঙ্গে রাখা হয়েছিল, যা দেখে আনন্দিত হয়েছিলেন সাকলাইন।

বাবর-কোহলির মধ্যে ভাইরাল হওয়া ছবি ক্রিকেটবিশ্বে তেমনই একটি ভালো ও সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দিয়েছে বলে মনে করেন এ পাকিস্তানি সাবেক স্পিনার।

বৃহস্পতিবার এক গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় সাকলাইন মুশতাক বলেন, কয়েক বছর আগে আমি অল-স্টার ম্যাচ খেলতে গিয়েছিলাম। সেখানে বিশ্বসেরা ২৫ ক্রিকেটার ছিলেন।  সেই খেলায় শচিন টেন্ডুলকার এবং শেন ওয়ার্নকে একত্রিত করেছিল। সেই সময় আমি একটি টুইট করেছিলাম। ম্যাচটি হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে ভারত ও পাকিস্তানের উভয় দেশের ভক্তরা দুই দেশের পতাকা একসঙ্গে সেলাই করে রেখেছিল এবং তারা একত্রে এটি প্রদর্শন করছিল। আমি তখন টুইট করেছিলাম যে, এটা শুধু ক্রিকেট এবং বিনোদন নয়। এটি মানুষকে অনেক কিছু বোঝতে সাহায্য করে, এটি সবাইকে একত্রিত করে। আমরা যখন ম্যাচ খেলি, তখন আবেগ বেশি থাকে। কিন্তু এই খেলাটি মানবতার শিক্ষা দিতেও সাহায্য করে। আমি মনে করি বাবর এবং কোহলির মধ্যে গতকালের (বুধবার) ছবি একটি ভালো বার্তা দেয়।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ