স্বাধীনতার পর ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে অর্থনৈতিক সময় পার করছে শ্রীলংকা। অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণেই দেশটিতে সরকারবিরোধী আন্দোলন চলছে।
সেই আন্দোলনের তোপের মুখে পদত্যাগ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। তার পদত্যাগের পর বৃহস্পতিবার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন দেশটির ইউএনপি দলের নেতা রনিল বিক্রমাসিংহে।
বিক্রমাসিংহে দায়িত্ব নিলেও দ্বীপ রাষ্ট্রটিকে অর্থনৈতিক অস্থিরতা কাটিয়ে পরিস্থিত স্বাভাবিক করতে দীর্ঘ সময় লেগে যাবে।
এ অবস্থায় সামনের দিনগুলোতে দেশটিতে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ও সিরিজগুলো নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।
চলতি বছরের ২৭ আগস্ট থেকে ১১ সেপ্টেম্বর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে চলমান অস্থিরতার ফলে শ্রীলংকায় এশিয়া কাপ আদৌ আয়োজন সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে।
এ মাসের শেষের দিকে এশিয়া কাপের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। সংস্থাটির সভাপতি ও ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব জয় শাহ শ্রীলংকার সংঘাত শুরু হওয়ার পর দেশটির ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি শাম্মি সিলভা এবং প্রধান নির্বাহী অ্যাশলি ডি সিলভার সঙ্গে বর্তমান অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানিয়েছে ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ।
জয় শাহ বলেছেন, এ মাসের শেষদিকে লংকান ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা ভারতে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তখন চূড়ান্তভাবে জানা যাবে তারা এশিয়া কাপ আয়োজন করতে পারছেন কিনা।
শ্রীলংকা যদি যথাসময়ে এশিয়া কাপ আয়োজন করতে না পারে তাহলে টুর্নামেন্ট আয়োজনে নতুন ভেন্যু নির্ধারণ করতে হবে এসিসিকে। আগস্ট-সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রচণ্ড দাবদাহ থাকে। এছাড়া ভারত-পাকিস্তানের দ্বন্দ্বের কারণে এই দুটি দেশেও টুর্নামেন্ট আয়োজনের সম্ভাবনা ক্ষীণ। আর এমনটা হলে আবারো এশিয়া কাপের আয়োজক হতে পারে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) অবশ্য আগেই এশিয়া কাপ আয়োজনের আগ্রহের বিষয়টি এসিসিকে জানিয়ে রেখেছে।
এ ব্যাপারে শুক্রবার যুগান্তরের সঙ্গে একান্ত আলাপে বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান তানভির আহমেদ বলেন, শ্রীলংকাকে একটা নির্ধারিত সময় বেঁধে দেওয়া আছে। তারা এশিয়া কাপ আয়োজন করতে না পারলে জানাবে। তারপরই সিদ্ধান্ত হবে কারা আয়োজক হচ্ছে। তবে আমরা আমাদের আগ্রহের কথা জানিয়ে রেখেছি।