ভৌগোলিকভাবে কম্বোডিয়া হলো এমন একটি দেশ, যার সাথে রয়েছে বাংলাদেশের অনেক সাদৃশ্য। যেমন কম্বোডিয়াতে রয়েছে সুউচ্চ পাহাড়, ঠিক তেমনি রয়েছে নীল জলরাশি, আমাদের কক্সবাজার এবং বান্দরবানের মতো।
সংস্কৃতি
কম্বোডিয়ার সংস্কৃতি এবং আমাদের দেশের সংস্কৃতি যেন একই সুতোয় গাঁথা, হবেই তো- কারণ এই দুই জাতিই সংস্কৃত থেকে এসেছে। আমাদের মতো কম্বোডিয়ানদেরও প্রধান খাদ্য ভাত।
ঐতিহ্য
পৃথিবীতে সবচাইতে বড় বৌদ্ধ ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মন্দিরটি (এঙ্কর ওয়াট) কম্বোডিয়ায় অবস্থিত। এঞ্জেলিনা জোলি অভিনীত টম রাইড়ার ছবিটির শুটিং হয়েছিল কম্বোডিয়ার এঙ্কর ওয়াটে।
আমাদের ১৯৭১ সালের মতো তাদেরও রয়েছে বিভীষিকাময় অধ্যায় (খামার রুজ শাসনামল জেনোসাইড)।
এতকিছুর পরেও কম্বোডিয়া আজ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। কম্বোডিয়াতে স্থাপিত হচ্ছে বিশ্বের নবম বৃহত্তম বিমানবন্দর।
কম্বোডিয়ার রাজধানীর নাম নম পেন। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর হচ্ছে সিয়ানুকভিল। ক্যাসিনোর সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্যাসিনো শহর। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে এই সিয়ানুকভিল হতে যাচ্ছে আরেকটি ইকোনমিক জোন। চীনা বিনিয়োগের সহায়তায় এ শহরটি হতে যাচ্ছে এশিয়ার সবচেয়ে সুন্দর পরিকল্পিত শহরগুলোর একটি। এখানে গড়ে উঠেছে বড় বড় শপিং মল, ফাইভ স্টার হোটেল। সমুদ্রের পাশে অবস্থিত শহরটিতে রয়েছে ছবির মতো সুন্দর সৈকত।
কোভিডের থাবায় যখন পুরো বিশ্ব থেমে ছিল তখনো কম্বোডিয়া তার গতি বজায় রেখেছিল। এরই ধারাবাহিকতায় কম্বোডিয়ায় পাড়ি জমাচ্ছেন সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীরা। চীনা বিনিয়োগকারীর পাশাপাশি ও ফরাসি, জাপানি, কোরিয়ানসহ বহু দেশের বিনিয়োগকারীরা এখানে বিনিয়োগ করছেন। রিয়াল এস্টেট, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, কৃষি, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, আইটি, ফার্মাসিউটিক্যালসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করছেন। এর ফলে এখানে তৈরি হচ্ছে বিপুল পরিমাণ কর্মসংস্থান। আমাদের দেশের বেকার যুব সমাজের জন্য এ কম্বোডিয়া হতে পারে পরবর্তী গন্তব্য।
কম্বোডিয়াতে ইউএস ডলার ব্যবহৃত হয়। জাতিগতভাবে কম্বোডিয়ানরা আমাদের দেশের মানুষের মতো সহজ-সরল।
কম্বোডিয়া আসিয়ানভুক্ত দেশ হওয়ায় আসিয়ানভুক্ত অন্যান্য দেশের সঙ্গে ব্যবসা করার জন্য কোনো প্রকার শুল্ক প্রদান করতে হয় না।