ইমরান-আদালত ধাক্কায় দুভাগ পাকিস্তান সেনাবাহিনী

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতার এবং পরে এ গ্রেফতারকে সুপ্রিমকোর্টের ‘অবৈধ’ ঘোষণা করার বিষয়টি দেশটির সেনাবাহিনীতে বিভক্তি সৃষ্টি করেছে।

গত ৯ মে আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় হাজিরা দিতে গিয়ে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকে গ্রেফতার হন ইমরান খান। গুঞ্জন রয়েছে এর পেছনে দেশটির সেনাবাহিনীর একটি অংশ কলকাঠি নেড়েছে। ফলে এ বিষয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বিভক্ত হয়ে পড়েছে।

পাকিস্তান মিলিটারি মনিটর নামের একটি সামরিক সংবাদমাধ্যমে মঙ্গলবার এমন দাবি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইমরান খানকে গ্রেফতারের পর রাওয়ালপিন্ডিতে সেনা সদর দপ্তর এবং লাহোরে একজন কমান্ডারের বাড়িতে হামলার বিষয়টি উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন সেনাবাহিনীর দুজন জেনারেল। তারা মূলত ইমরান খানের গ্রেফতারের বিরোধিতা করেছিলেন।

এমনকি তারা সেনাপ্রধান অসিম মুনিরকে জানিয়ে দিয়েছিলেন, যদি ইমরান খানকে গ্রেফতারের জেরে তেহরিক-ই-ইনসাফের কর্মীরা সেনাবাহিনীর ওপর কোনো হামলা চালায়, তাহলে তারা গুলির নির্দেশনা দেবেন না।

অডিও ফাঁস, গোয়েন্দা তথ্যসহ বিভিন্ন মাধ্যম থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

খবরে বলা হয়, ইমরান খানের গ্রেফতারের ফলে সেনাবাহিনীর জেনারেলদের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সমস্যায় সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের ফলে চলমান সহিংসতায় তারা উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।

ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, টিম অব দি চিফ অব স্টাফ অব দি আর্মড ফোর্স ( সিওএএস) এর মাধ্যমে জেনারেল আসিম মুনিরের পদক্ষপের ফলে সেনাবাহিনীর চেইন অব কমান্ড হুমকির মুখে পড়েছে। এ সমস্যা সমাধানে সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অনতিবিলম্বে ফরমেশন কমান্ডার্স কনফারেন্স আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন । এ ব্যাপারে সেনাপ্রধানকে চিঠিও দিয়েছেন তারা।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে দ্বন্দ্ব নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে প্রকাশ্যে আসার বিষয়টি অস্বাভাবিক ঘটনাই।

বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বলা হচ্ছে যে, বিগত ৭৫ বছরে সেনাপ্রধানের পদ এতটা নড়বড়ে আগে কখনো দেখা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, পাকিস্তানের সাবেক এবং বর্তমান জেনারেলদের একাংশ ইমরান খানকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিচ্ছেন।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ