ইমরানের অভিযোগ ৪র্থ বার প্রত্যাখ্যান করলো যুক্তরাষ্ট্র

সর্বশেষ শুক্রবার জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে আবারও পাকিস্তানের রাজনীতিতে ‘বিদেশি হস্তক্ষেপ’ বা ‘বিদেশি ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগ এনেছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এক্ষেত্রে তিনি সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছেন। কিন্তু শনিবার চতুর্থবারের মতো তার এই অভিযোগ জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জালিনা পর্টার ইমরানের অভিযোগকে অসত্য বলে দাবি করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, পাকিস্তানে সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের শ্রদ্ধা ও সমর্থন আছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিও টিভি। এতে বলা হয়, শনিবার মার্কিন সরকার আরও একবার প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। ইমরান খানের অভিযোগ, অনাস্থা প্রস্তাবের মধ্য দিয়ে তার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রচেষ্টায় জড়িত যুক্তরাষ্ট্র।

তিনি শুক্রবারের ভাষণে আরও বলেছেন, ‘আমদানি করা সরকার’কে তিনি কখনো মেনে নেবেন না।

এক্ষেত্রে আমদানি করা বলতে তিনি অন্যের দ্বারা কাউকে এনে ক্ষমতায় বসিয়ে দেয়া বুঝিয়েছেন। এক্ষেত্রে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ইঙ্গিত করেছেন। বলেছেন, পাকিস্তানে ‘বিদেশি সরকার’ প্রতিষ্ঠা তিনি সহ্য করবেন না। তার আরও অভিযোগ অনাস্থা প্রস্তাব তার বিরুদ্ধে উত্থাপন করার আগেই যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূতকে সতর্ক করেছেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, ইমরান খান যদি এই প্রস্তাবে নিজেকে রক্ষা করতে সক্ষম হন, তাহলে পাকিস্তানকে কঠোর পরিণতি ভোগ করতে হবে। এ সময় ক্ষোভ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওই কর্মকর্তার সমালোচনা করেন ইমরান। তিনি বলেন, ওই কর্মকর্তা পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূতকে বলেছেন, যদি ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হন, তাহলে পাকিস্তানে কে ক্ষমতায় আসবে তা কোনো বিষয় নয়।

এর আগে ইমরান খানের একই রকম অভিযোগের জবাব তিনবার দিয়েছে মার্কিন সরকার। শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে ইমরানের অভিযোগকে আরও একবার উড়িয়ে দিয়েছে। তারা দাবি করেছে, পাকিস্তানে শাসকগোষ্ঠী পরিবর্তনের কোনো প্রচেষ্টায় জড়িত নয় যুক্তরাষ্ট্র। ২৭শে মার্চ এক জলসায় ইমরান অভিযোগ করেন, পাকিস্তানের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা জাতীয় পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে তার শাসনকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র করেছে। এ অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে জনসমাবেশে তিনি একটি ‘হুমকিমূলক চিঠি’ প্রদর্শন করেন। বলেন, একটি বিদেশি রাষ্ট্র সতর্ক করেছে যে- তিনি ক্ষমতায় থাকলে করুণ পরিণতি ভোগ করতে হবে।

এরপর ৮ই এপ্রিল জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন ইমরান। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি মুখপাত্র জালিনা পর্টার তার ওইসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন, আমি খুব স্পষ্টভাবে বলছি যে, এসব অভিযোগের কোনোই সত্যতা নেই। তার ভাষায়- অবশ্যই আমরা পাকস্তানের এসব পরিবর্তিত পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। দেশটির সাংবিধানিক প্রক্রিয়া এবং আইনের শাসনের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও সমর্থন আছে। কিন্তু আরও একবার বলতে হচ্ছে এসব অভিযোগ সত্য নয়।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ