ডেস্ক রিপোর্ট:স্বপ্ন দেখতে মানুষ ভালোবাসে, স্বপ্নকে সামনে রেখেই মানুষ বড় হয়, সেই স্বপ্ন দেখায় অন্যকেও। ছোটবেলা থেকে ইতালি প্রবাসী মুনিরা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, আজ তা ধীরে ধীরে বাস্তবায়িত হতে চলেছে। মেহজাবিন মুনিরা ইতালির রাজধানীর রোমে বসবাস করেন। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই পবিত্র কোরআনের আলো ধর্মপ্রাণ মুসলমানের মাঝে ছড়িয়ে দেবার যে স্বপ্ন ছিল, সেই স্বপ্নকে এখন তিনি কাজে লাগাচ্ছেন। আরবি শিক্ষা গ্রহণ করেছেন মনিরা। আর তাই পবিত্র কোরআন অন্যকে শেখানোর প্রতি ছিল তার মনোযোগ। স্বদেশ বিদেশকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মুনিরা জানান, ২০১৭ সালে ইতালিতে আসার পর এখানে একটি একাডেমি চালু করার পরিকল্পনা ছিল তার। শুরুতেই বিনামূল্যে এই পবিত্র কোরআন শিক্ষা দিতে থাকেন। এখন মাত্র ১০ ইউরোর
বিনিময়ে মনিরা রে কার্যক্রম চলছে। মুনিরা বলেন, করোনা কালে যখন ঘরবন্দী ছিলাম, তখন সিদ্ধান্ত নিলাম বড় পরিসরে এই একাডেমীকে গড়ে তুলবো। পরে আমি যোগাযোগ করি বড় বোন বাংলাদেশের বিখ্যাত তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল এবং বিশ্ব বিখ্যাত আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে। তাদের পরামর্শ এবং সহযোগিতায় গড়ে তুলি তাদরিসুল কোরআন একাডেমী। অভিভাবকদের ব্যাপক সাড়া পান তিনি। শুরু করেন ৩৬ জন শিক্ষার্থী নিয়ে। এরপর আর মুনিরাকে থেমে থাকতে হয়নি। বহু শিক্ষার্থী এখন তার এই একাডেমিতে। অনলাইনে যুক্ত হয়ে পবিত্র কোরআন শিক্ষা নিচ্ছেন তারা। ছোট ছোট ছেলে মেয়ের বাইরেও বড়দেরও শিক্ষা দিয়ে থাকেন তিনি। তবে অভিভাবকদের বিশেষ অনুরোধ এবং শিশুদের প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনা করে তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া সহ খ্যাতিমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেধাবী শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে আরবি শিক্ষার পাশাপাশি তিনি এই প্রবাসে বাংলা বর্ণমালা পরিচয়, শব্দ গঠন, বাক্য গঠন, দ্রুত বাংলা পড়া, বাংলায় কথা বলা এবং লিখার কাজ শেখানো শুরু করেন। শুধু তাই নয় ইসলামী সংগীত শিক্ষারও ব্যবস্থা রয়েছে তারই একাডেমিতে। দেশীয় সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেবার পাশাপাশি মেহজাবিন মনিরা ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ইতালি প্রবাসী অভিবাবকরা। তাদের প্রত্যাশা সত্যিকারের মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার এই প্রচেষ্টা যেন অব্যাহত থাকে।
