ইতালিসহ ইউরোপের বহু দেশে চলছে ঘড়ি পরিবর্তনের প্রস্তুতি। আগামী ২৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে শেষ হতে চলেছে ডেলাইট সেভিং টাইম বা ‘গ্রীষ্মকালীন সময়’। এই দিন রাত ৩টার সময় ঘড়ি এক ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়া হবে যার ফলে সকাল এক ঘণ্টা আগে আলোকিত হবে এবং সন্ধ্যাও দ্রুত অন্ধকার হয়ে আসবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলিতে বছরে দুবার ঘড়ি পরিবর্তন করা হয় মার্চ মাসের শেষ রোববার এবং অক্টোবরের শেষ রোববার। এই প্রথার প্রচলন হয়েছিল এক শতাব্দীরও বেশি আগে বিদ্যুত আবিষ্কারের পূর্বে যাতে কর্মদিবসে দিনের আলোর সদ্ব্যবহার করা যায়।
তবে, ইউরোপের জন্য এটি সম্ভবত শেষবারের মতো ঘড়ি পরিবর্তনের ঘটনা হতে পারে। ২০১৯ সালে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ইইউ স্তরে ডেলাইট সেভিং টাইম বাতিল করার একটি খসড়া আইন অনুমোদন করেছিল কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে সেই পদক্ষেপ আপাতত স্থগিত রয়েছে।
এই পরিকল্পনা অনুযায়ী ইইউ এর ২৭টি সদস্য রাষ্ট্রকে হয় স্থায়ী গ্রীষ্মকালীন সময় অথবা স্থায়ী শীতকালীন সময় বেছে নিতে হবে। তবে আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্যে অর্থনৈতিক বিঘ্ন এড়াতে এই পছন্দগুলি সমন্বয় করা বাধ্যতামূলক।
বর্তমানে ইইউ-তে তিনটি ভিন্ন সময় অঞ্চল প্রচলিত: গ্রিনিচ মিন টাইম (জিএমটি): আয়ারল্যান্ড এবং পর্তুগাল (যুক্তরাজ্যের সাথে), সেন্ট্রাল ইউরোপীয় টাইম (জিএমটি+১) ১৭টি দেশ এবং ইস্টার্ন ইউরোপীয় টাইম (জিএমটি+২) ৮টি দেশ।
ইউরোপের একমাত্র দেশ যা গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত দিনের আলোর সুবিধা নেয় না তা হলো আইসল্যান্ড যা সারা বছর গ্রিনিচ মিন টাইম (জিএমটি) মেনে চলে।
ইতালি ১৯৬৬ সাল থেকে প্রতি বছর ঘড়ি পরিবর্তন করে আসছে এর আগে তারা ১৯১৬-১৯২০ এবং ১৯৪০-১৯৪৮ সালেও এটি অনুসরণ করেছিল। এই বছর শীতকালীন সময় শুরু হওয়ার পর ২০২৬ সালের ২৯ মার্চ ঘড়ি আবার এক ঘণ্টা “সামনের দিকে এগিয়ে” গ্রীষ্মকালীন সময়ে ফিরে যাবে, যদি না এর আগেই স্থায়ী সময়ের বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।