জেবুন্নেছা জেবু, বার্সেলোনা প্রতিনিধি:
বয়সের ভারে মাঝে মাঝে লাঠি ভর দিয়ে চলে মানুষটি,পরিচিত মানুষ কাছে আসতেই হাত বাড়িয়ে দেয় হাসি মাখা মুখে। রেস্টুরেন্টের টেবিলে বসিয়ে খাবারের অর্ডার দেয়া যেন তার চিরাচরিত অভ্যাস।তার সামনে কখনো কারো সাধ্য হয়নি বিল পরিশোধ করা।বাংলাদেশী প্রসঙ্গ আসলে তো কথাই নেই ,আনমনে হয়ে চলে যান সেই সব দিনগুলোতে |শৈশব , কৈশোর আঊ রনাঙ্গনের দিনগুলি |পিতা মাতার স্মৃতিতে ডুকরে কাঁদেন তিনি।এখন সবই আছে নেই শুধু তাঁরা |
এ কথা সে কথা নানা কথার ছলে মুক্তিযুদ্ধের কথা নিয়ে আলোচনা।সাথে শ্রদ্ধাভরে জাতি মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ইতিহাস গাথা কত কথা বলেন তিনি।বঙ্গবন্ধুর কথা বলতেই ছিল ছল চোখে বীরত্বগাথা স্বাধীনতার আগে পরের কত
কথা ,৫২ এর ভাষা অন্দোলন, ৭ই মার্চ, ২৬শে মার্চ, ১৬ই ডিসেম্বর তথা ১৫ই আগষ্ট এর কথা বলতেই চোখের পানি রুমালে মুছে নিতেন।রাজনৈতীক গুরু জিতেন ঘোষ |তাঁর স্মৃতিচারন করতে কখনো তার এতটুকুও ভুল হতো না।গুরুর সম্মানের এক অনন্য দৃষ্টান্ত যেন এই মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন হক নেছা।
বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষনার পর,গুরু
জীতেন ঘোষের নির্দেশে টগবগে যুবক বি ,এস۔ সি স্টুডেন্ট আলাউদ্দিন হক নেছা মুক্তিযুদ্ধের জন্য হাতে অস্ত্র তুলে নেন | একটি সুন্দর সকালের প্রত্যাশায় শিশুর হাসি বুকে ধারন করে নিজেকে উৎসর্গ করতে দ্বিধাবোধ করেননি।ঝনঝন অস্ত্রের শব্দ শেষে গাজীর বেশে শত মুক্তিযোদ্ধার মতো তিনিও আবার ফিরে আসেন ঘরে,তখনকার সময় টগবগে যুবক আলাউদ্দিনের নেছা ।এই অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা বীর সেনানীকে হাজার বার হাজারো সালাম।যারা মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করে তারা
রাজাকার আল বদরের উত্তরসূরী।৭০ উর্ধ এই আলাউদ্দিন হক নেছা বার্সেলোনায় লাঠি ভর দিয়ে বাংলাদেশের মহান স্হপতি বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া আওয়ামী লীগকে সাহায্য সহযোগিতা করতে কুণ্ঠিত নন তিনি। দলের সকল কাজেই জড়িত থাকার চেষ্টা করেন এই মুক্তিযোদ্ধা। ।তার কথা মুক্তিযোদ্ধারা কখনো মরে না, তারা অমর।তিনি নিজেকে গর্বিত মনে করেন এমন সুযোগও বারবার আসে না মানুষের জীবনে সেই সুযোগ তিনি কাজে লাগিয়েছেন |
যারা মুক্তিযোদ্ধাদের নানা অপবাদ দেবার চেষ্টা করেন তারা রাজাকার ,পাকিস্তান পন্থি।
