স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, আমাজন নদীর নদীর মতো পদ্মাও বেশ খরস্রোতা নদী। এমন খরস্রোতা যে আমাজন নদীর উপর কেউ সেতু করার সাহস দেখাতে পারেনি। কিন্তু বাংলাদেশ পদ্মার ওপর সেতু করে দেখাতে পেরেছে। আমাজন নদীর পরই এই পদ্মার স্থান। খরস্রোতা নদীর দিক থেকে এটি পৃথিবীর দ্বিতীয়।
বৃহস্পতিবার বিকালে মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় আগামী ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এটি স্মরণকালের বৃহত্তম জনসভা হবে। যে জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন আজকে এ পদ্মা সেতু যার স্বপ্ন, এ পদ্মা সেতু যার কমিটমেন্ট; সেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ পদ্মা সেতুর জন্য প্রধানমন্ত্রী অনেক ত্যাগ শিকার করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, এটি দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এ অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হবে। তেমনি দেশের সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ করবে। সেতু দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তকে সংযোগ করে দিয়েছে। দেশের অর্থনীতিকে উন্নতি করবে। দেশের প্রত্যেক মানুষকে স্বাবলম্বী করে তুলবে। দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক চিত্র পাল্টে দেবে এ পদ্মা সেতু। এ জনসভাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে।
জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ও মাদারীপুর-১ (শিবচর) আসনের এমপি নুর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, বাঙালির সক্ষমতার পদ্মা সেতু এবং অপমানের প্রতিশোধের এ পদ্মা সেতু। এটি দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তুলবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর আদলে প্রধানমন্ত্রীর জনসভার মঞ্চ নির্মাণ করা হবে। এখন সবই পদ্মা সেতু।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, শিবচর উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল লতিফ মোল্লা, শিবচর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. সেলিমসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।