ডেস্ক রিপোর্ট:শারজায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানকে ২ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ের ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করলো টাইগাররা।
বাংলাদেশের এই জয়ে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রীড়া সংস্থা, ইতালির সভাপতি হাজী মোঃ জসিম উদ্দিন প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ আফগানিস্তানকে পরপর দুই ম্যাচে পরাজিত করে এক অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে। আগামী দিনে এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলো তিনি মনে করেন।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে আফগানিস্তান ওপেনিং জুটিতেই ৫৫ রান তোলে দুই ওপেনার সেদিকুল্লাহ অতল ও ইব্রাহিম জাদরান। ব্যক্তিগত ২৩ রানে অতলকে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন রিশাদ। এরপর দলীয় ৭১ রানে ৩৮ রান করা জাদরানকে ফিরিয়ে নাসুম এনে দেন দ্বিতীয় উইকেট। পরের ওভারেই তারাখিলকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান রিশাদ।
দ্রুতই দারউইশ রাসুলিকে ফিরিয়ে নামের পাশে আরও এক উইকেট যোগ করেন নাসুম। তাতে ৯০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে আফগানরা। তবে একপ্রান্তে গুরবাজের ছোট্ট ঝরে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। ২২ বলে ৩০ রানে গুরবাজ শরিফুলের শিকার হলে ১১৮ রানে ৫ম উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
বাংলাদেশের বোলারদের দাপটে ব্যাকফুটে থাকা আফগানদের চ্যালেঞ্জিং স্কোর এনে দেন ওমরজাই ও মোহাম্মদ নাবী। নাবীর ১২ বলে ২০ ও ওমরজাইর অপরাজিত ১৯ রানে নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেটে ১৪৭ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। দুটি করে উইকেট শিকার করেন নাসুম-রিশাদ ও এক উইকেট নেন শরিফুল। আফগানদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন ইব্রাহিম জাদরান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। অধিনায়ক জাকের আলীর ব্যাট থেকে আসে ৩২ রান।
এরপর রশিদের গুগলিতে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন জাকের আলী। আউট হওয়ার পূর্বে ২৫ বলে ৩২ রান করেন জাকের।
রিভার্স সুইপে শামীমের বিদায়ের পর চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ১০২ রানে বাংলাদেশ হারায় পঞ্চম উইকেট। এরপর ১৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ফাইন লেগ দিয়ে চার মেরেছিলেন সাইফউদ্দিন। তবে, তৃতীয় বলেই উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন সাইফউদ্দিন।
ঠিক পরের বলে ক্যাচ তুলেছেন রিশাদ হোসেন। তবে পেছনে গিয়ে হাতে নিতে পারেননি রিশাদ। প্রথম বলে বেঁচে গেলেও পরের বলেই বোল্ড রিশাদ। তিন বলের মধ্যেই বাংলাদেশ হারায় দুই উইকেট। ম্যাচের এই মুহূর্তে বেশ চাপে বাংলাদেশি ব্যাটাররা।
তবে, ম্যাচের ১৯তম ওভারে নূর আহমেদের ওভারটিতে প্রথম বলে ছয় মেরে খেলা ঘুরিয়ে দেন নুরুল। ছক্কা মারার ঠিক পরের বলে আসে এক রান। তৃতীয় বল ডট যাওয়ায় আবার চাপে বাংলাদেশ। এরপর ৪র্থ বলে ওয়াইডের সঙ্গে আশীর্বাদ হিসেবে আসে অতিরিক্ত ২ রান। পরবর্তী তিন বলে শরীফুল নিয়েছেন ৭ রান। সব মিলিয়ে ১৯তম ওভারে এসেছে ১৭ রান; ম্যাচটিও চলে আসে টাইগারদের নাগালে।
আফগানিস্তানকে হারাতে দরকার ছিল ২ রান। আজমতউল্লাহর বল লং অনের দিকে পাঠিয়ে ৪ মেরে ম্যাচটি বাংলাদেশের করে নেন শরীফুল ইসলাম। মোট ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টিতে দুটি জিতে সিরিজ নিজেদের করে নেয় টাইগাররা।
