সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তদের দু’টি উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনো আইনি বাধা নেই। এ বিষয়ে প্রকাশিত আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ে সরকারি চাকরিজীবীদের দীর্ঘদিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবির নিষ্পত্তি হয়েছে। আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ ১৮ পৃষ্ঠার রায় আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেন। এতে প্রায় ১৫ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী উপকৃত হবেন।
এর আগে চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল নিষ্পত্তি করে সংশোধিত রায় দেন সর্বোচ্চ আদালত। রায়ে বলা হয়, ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী উচ্চতর গ্রেডের যে বিধান রয়েছে, তা অক্ষুণ্ণ থাকবে। অর্থাৎ অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা ‘স্পষ্টীকরণ’ পরিপত্রের প্যারা-‘গ’ অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। ওই প্যারার মাধ্যমে বলা হয়েছিল- একজন কর্মকর্তা যদি টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড একাধিকবার পেয়ে থাকেন, তবে তিনি উচ্চতর গ্রেড পাবেন না। তবে এখন সেই বিধান বাতিল হওয়ায় এমন কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও উচ্চতর গ্রেড পাবেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই রায় সরকারি চাকরির বেতন কাঠানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে।
রিটকারী পক্ষের আইনজীবী ইব্রাহিম খলিল সাংবাদিকদের জানান, সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়ের ফলে প্রায় ১৫ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী উপকৃত হবেন। যারা ২০১৫ সালের আগে টাইম স্কেল বা সিলেকশন গ্রেড পেয়েছিলেন, তারা এখন দু’টি উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার সুযোগ পাবেন।
২০১৫ সালে জাতীয় বেতন স্কেল কার্যকর হওয়ার পর পরবর্তী বছরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ‘স্পষ্টীকরণ’ পরিপত্র জারির মাধ্যমে বহু কর্মকর্তা-কর্মচারী উচ্চতর গ্রেড থেকে বঞ্চিত হন। এতে অসন্তোষ দেখা দিলে ২০১৭ সালে একাধিক রিট দায়ের হয় হাইকোর্টে। হাইকোর্টে রিটকারীদের পক্ষে রায় গেলেও রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে। সেই আপিলেরই পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলো।