বোনকে ঈদ উপহার দিতে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম থেকে একটি নতুন আইফোন-১৬ প্রো অর্ডার করেন যুবক।এক ঘণ্টার মধ্যেই ডেলিভারি বয় চলে আসেন। চার্জ দিয়ে ডেলিভারি বয়কে বিদায় করলেও বক্স খুলে চেক করেননি তিনি। বোনের ঠিকানায় পাঠিয়ে দেন। বোনও সারপ্রাইজড। বক্স খুলে তিনি দেখেন, অ্যাপল ডিভাইস নয়, ছিল আইফোনের একটি ডামি! সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক রাজধানী দুবাইয়ের এমন প্রতারণা শিকার হয়েছেন এক ভারতীয় যুবক। তার নাম মোহাম্মদ সিরাজউদ্দিন। দুবাইভিত্তিক ভারতীয় ব্যাংকে চাকরি করেন তিনি।
সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, অনলাইনে একটি ই-কমার্স সাইটে আইফোন ১৬ প্রো- এর দাম দেখে আকৃষ্ট হন সিরাজউদ্দিন। এর দাম লেখা ছিল ৪ হাজার ১৯৯ দিরহাম, যা আর সব শপ থেকে তুলনামূলক কম দাম। সিরাজ অফারটি লুফে নেন। গত ২৯ মার্চ তিনি ওই ই-কমার্স সাইটের নম্বরে ফোন করে আইফোনটি অর্ডার করেন।
খালিজ টাইমসকে সিরাজউদ্দিন বলেন, ‘আমি দুবাইয়ে চাকরি করি। আমার পরিবার থাকে ভারতের হায়দরাবাদে। ছোট বোনকে ঈদ উপহার দেওয়ার ইচ্ছা ছিল। ওই সাইটে কিছুটা কম দামে আইফোন দেখে ভেবেছিলাম এটাই হবে বোনের জন্য দারুণ এক উপহার। তা ছাড়া অনলাইন থেকে কিনলে শপিং মলে ঘুরে বেড়ানোর ঝামেলা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। এসব বিবেচনায় আইফোন অর্ডার দিই।’
সিল করা বাক্সটি না খুলেই ভারতে যাচ্ছেন এমন এক বন্ধুর হাতে তুলে দেন, যেন বোন দ্রুতই উপহারটি পেতে পারে। কিন্তু ভারতে বোন সাদিয়ার হাতে যখন উপহারটি পৌঁছায় তিনি খুলে দেখলেন অ্যাপল ডিভাইসের পরিবর্তে একটি প্লাস্টিকের ডামি!
সিরাজউদ্দিন বলেন, ‘আমার বোন ভেবেছিল আমি এপ্রিল ফুলের প্র্যাঙ্ক করছি। কিন্তু যখন সে ফোন করে বিষয়টি জানাল আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। আমি তাৎক্ষণিক অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অভিযোগ দায়ের করি, তারা দেরি না করেই টাকা ফেরত দেয়। ’
টাকা ফেরত পেলেও ঘটনাটি তাকে বিব্রত করেছে বলে জানান সিরাজউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘এটা শুধু টাকার ব্যাপার নয়। আমরা প্রায়শই বিদেশ থেকে দেশে প্রিয়জনদের উপহার পাঠাই। কল্পনা করুন যখন এমন কিছু ঘটে, বিশেষ করে ঈদের দিনে, তখন কতটা লজ্জা লাগে। ’
সিরাজউদ্দিন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোকে তাদের তদারকি আরও কঠোর করার আহ্বান জানান। ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের একজন মুখপাত্র বলেছেন, বিষয়টি অভ্যন্তরীণভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।