অভিবাসন চাপ সামলাতে ভূমধ্যসাগরীয় ৪ দেশকে যে বিশেষ ‘ঐক্য’ তহবিল দেবে ইইউ

অভিবাসন সংক্রান্ত চাপ মোকাবিলায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এর নতুন পদ্ধতির অধীনে গ্রিস, সাইপ্রাস, স্পেন এবং ইতালি সাহায্য পাওয়ার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। ইইউ কমিশন মঙ্গলবার এক ঘোষণায় এ কথা জানান। ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে ইইউ এর ‘অভিবাসন ও আশ্রয় চুক্তি’ কার্যকর হলে এই দেশগুলো এই সহায়তা পাবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভিবাসন সংস্কারের অংশ হিসেবে সদস্য দেশগুলোকে এখন একটি ‘সংহতি পুল’ নামে পরিচিত ব্যবস্থার মাধ্যমে এই চারটি দেশকে কীভাবে সবচেয়ে ভালো সাহায্য করা যায় তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এই সাহায্যের বিকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে; সদস্য দেশগুলো নিজেরাই আরও বেশি অভিবাসীকে আশ্রয় দেওয়ার প্রস্তাব দিতে পারে, এই চারটি ভূমধ্যসাগরীয় দেশকে আরও বেশি অর্থ প্রদান করা ও অভিবাসন সংক্রান্ত চাপ কমাতে অন্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া।

কমিশন জানিয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন মাসের মধ্যে অবৈধ সীমান্ত পারাপার ৩৫ শতাংশ হ্রাস পেলেও অভিবাসন সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জগুলো এখনও বিদ্যমান।

কমিশনের মতে, গ্রিস এবং সাইপ্রাস গত এক বছরে আগমনের মাত্রা অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় সরাসরি অভিবাসন চাপের মধ্যে রয়েছে। অন্যদিকে, স্পেন এবং ইতালি একই সময়ে সমুদ্রে অনুসন্ধান ও উদ্ধারের পরে আগমনের সংখ্যা অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় তারা অভিবাসন চাপের শিকার।

কমিশন আরও জানিয়েছে, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, এস্তোনিয়া, ফ্রান্স, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, নেদারল্যান্ডস এবং পোল্যান্ডও অভিবাসন চাপের ঝুঁকিতে রয়েছে। ফলে এই দেশগুলো ইইউ এর অভিবাসন সহায়তা টুলবক্সে অগ্রাধিকারমূলক প্রবেশাধিকার পাবে।

সীমান্ত নিরাপত্তার বিষয়ে কমিশন জানিয়েছে, তারা হাইব্রিড হুমকি এবং ড্রোনের অনুপ্রবেশের মুখোমুখি দেশগুলোকে সহায়তার জন্য ড্রোন এবং অ্যান্টি-ড্রোন সক্ষমতা কেনার সমর্থনে একটি ২৫০ মিলিয়ন ইউরো টেন্ডার চালু করবে।

এছাড়াও, মূলত ইইউ এর পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত ছয়টি সদস্য রাষ্ট্রকে গত পাঁচ বছরের ক্রমবর্ধমান চাপের কারণে ‘সংহতি পুল’-এ তাদের অবদান থেকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ছাড় চাইতে অনুমতি দেওয়া হবে বলেও কমিশন সূত্রে জানা গেছে।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ