অবশেষে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) মেঘ কাটতে শুরু করেছে। আগামীকাল ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এসিসির এজিএম বয়কট করছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)—এমনই সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল ভারতের সংবাদমাধ্যমে। ঢাকার সভা বর্জনে ভারতকে অনুসরণ করেছিল শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তানের মতো ক্রিকেট বোর্ডও। তবে আজ বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল নিশ্চিত করেছেন, ভারত এ সভায় অনলাইনে যোগ দিচ্ছে।
রাতে এসিসির এজিএম উপলক্ষে আয়োজিত নৈশভোজ শেষে বুলবুল আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘তারা থাকছে, নিশ্চিত করেছে। অন্যরাও যোগ দিচ্ছে (যারা বর্জনের চিন্তা করছিল)। এখানে আদতে বাংলাদেশই জিতেছে।’ সভাপতি হিসেবে বুলবুল বিসিবির দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম এত বড় একটি আয়োজন বাংলাদেশে। কালকের সভায় ঠিক হওয়ার কথা ২০২৫ এশিয়া কাপের সূচি।
আয়োজনটা মূলত এসিসির। বিসিবি এখানে যাবতীয় লজিস্টিক সহায়তা দিচ্ছে। যেহেতু ঢাকায়, সভা ঠিকঠাক আয়োজনের মূল ভার আসলে বিসিবিরই। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, এসিসির সভা বাংলাদেশ থেকে স্থান বদলের জন্য এসিসিকে অনুরোধ করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। না হলে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেয় তারা। শেষ পর্যন্ত নিজেদের অবস্থান বদলেছে তারা। তাদের শীর্ষ কর্তারা সশরীরে না এলেও ভার্চুয়ালি যোগ দেবে সভায়। বিসিসিআইয়ের সহসভাপতি রাজীব শুক্লা অনলাইনে এসিসি সভায় যোগ দিতে পারেন।
সভায় ঠিকঠাক সিদ্ধান্ত এলে সেপ্টেম্বরের প্রথম দুই সপ্তাহে আরব আমিরাতে হতে পারে এশিয়া কাপ। টুর্নামেন্টের আয়োজন স্বত্ব ভারতেরই। এই টুর্নামেন্ট না হলে এসিসির প্রতিটি সদস্য বোর্ড হারাবে প্রায় ৪০ কোটি টাকার রাজস্ব। আর্থিক লাভের কথা চিন্তা করে উপমহাদেশের ভূরাজনৈতিক বিদ্বেষ আপাতত দূরে রাখতে পারে ভারত।