১৯২ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ

তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৬.৫ ওভারে মাত্র ১৯২ রানে গুটিয়ে গেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। হোয়াইটওয়াশ এড়াতে আফগানিস্তানের দরকার ১৯৩ রান।

সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুর স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। শুরুটা খুবই ধীরলয়ের। লিটন রানে থাকলেও তামিম ছিলেন ছন্দহীন। ১১তম ওভারে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি।

টানা তিন ম্যাচে আফগান পেসার ফজলহক ফারুকির বলে আউট হন তামিম। প্রথম দুই ম্যাচে এলবির শিকার হলেও তৃতীয় ম্যাচে দুর্দান্ত ইনসুইঙ্গারে হয়ে যান বোল্ড। ২৫ বলে ১ চারে তামিম করেন ১১ রান। বাংলাদেশ সিরিজ জিতলেও তিন ম্যাচ মিলে তামিমের রান ৩১। যা বড়ই হতাশার।

তামিমের বিদায়ের পর সাকিবের সাথে রানের চাকা সচল রাখেন লিটন দাস। ৫০তম ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তিনি পেয়ে যান চতুর্থ ফিফটি। সাথে পূর্ণ করেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চার হাজার রান। ফিফটি করতে লিটন বল খরচ করেন ৬৩টি। যার মধ্যে ছিল পাঁচটি চারের মার।

দলীয় ১০৪ রানে ভাঙে দ্বিতীয় জুটি। বিদায় নেন সাকিব আল হাসান। আজমতউল্লাহ ওমারজাইয়ের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। ৩৬ বলে তিন চারে ৩০ রান করে তারকা এই অলরাউন্ডার।

সাকিবের বিদায়ের পর দ্রুত আরো দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ১২১ রানে সাজঘরে ফেরেন মুশফিকুর রহীম। রশিদ খানের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। ১৫ বল খেলে তিনি করেন ৭ রান। বাউন্ডারি নেই একটিও।

দলীয় স্কোরে তিন রান যোগ হতেই হতাশ করেন তরুণ ইয়াসির আলী। তিনিও রশিদ খানের শিকার। ৪ বলে তিনি করেন এক রান। ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম রানের খাতা খুললেন তিনি। প্রথম ম্যাচে অভিষেক হয় তার। আউট হয়েছিলেন শূন্য রানে। দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ পাননি। তৃতীয় ম্যাচে কিছু করার সুযোগ ছিল। কিন্তু পারলেন না তিনি।

মাহমুদউল্লাহর সাথে লিটনের জুটি জমতে শুরু করলেও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরির আভাস দিয়েও হতাশ করেন লিটন। দলীয় ১৫৩ রানে বিদায় নেন লিটন। মোহাম্মদ নবীর বলে তিনি ক্যাচ দেন গুলবাদিন নাইবের হাতে। যাওয়ার আগে করে যান ১১৩ বলে সাত চারে সর্বোচ্চ ৮৬ রান।

এরপর একপ্রান্ত আগলে রেখে মাহমুদউল্লাহ খেলতে থাকলেও অপর প্রান্তে ছিল উইকেট যাওয়ার মিছিল। দলকে ভীষণ হতাশ করে একে একে বিদায় নেন আফিফ হোসেন (৬ বলে ৫ রান), মেহেদী হাসান মিরাজ (১২ বলে ৬ রান, রান আউট), তাসকিন আহমেদ (৬ বলে ০), শরিফুল ইসলাম (৯ বলে ৭ রান, রান আউট)। শেষ ব্যাটার মোস্তাফিজ হন রান আউট, করেন ২ বলে ১ রান।

বল হাতে আফগানিস্তানের হয়ে রশিদ খান তিনটি, নবী দুটি, ফারুকি ও ওমারজাই একটি করে উইকেট নেন।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on linkedin
LinkedIn
Share on print
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ