হোটেলের তালা ভেঙে ছাত্রীকে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় নিয়ে গেল পুলিশ

দিনাজপুরের একটি আবাসিক হোটেলের তালা ভেঙে পরীক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরপর তিনি মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পেরেছেন। আজ শুক্রবার সকালে দিনাজপুর শহরের মালদহপট্টি গ্রাইন্ড পূর্ভভবা আবাসিক হোটেলে এই ঘটনা ঘটে।

পরীক্ষার্থীর নাম আরিফাতুজ্জামান। দিনাজপুরে তিনি এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। তার রোল নম্বর ২৩০০০৯২। আরিফাতুজ্জামান লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের মেয়ে।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, ‘সকাল পৌনে ১০টার সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুজন সরকারকে ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন দিয়ে জানানো হয়, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আসা একজন পরীক্ষার্থী দিনাজপুর শহরের মালদহপট্টি গ্রাইন্ড পূর্ভভবা আবাসিক হোটেলে আটকা পড়েছেন। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হোক। খবর পেয়ে আমি ফোর্স নিয়ে পরীক্ষার্থীকে হোটেলের প্রধান গেটের তালা ভেঙে তাকে উদ্ধার করি। এরপর তাকে মোটরসাইকেলযোগে দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রে পৌঁছে দিই। মেয়েটি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সুন্দরভাবে পরীক্ষা দিয়েছে।’

এএসআই ননী গোপাল রায় জানান, ফোন পেয়ে দ্রুত মালদহপট্টি গ্রাইন্ড পূর্ভভবা আবাসিক হোটেলে এসে ম্যানেজারকে কয়েকবার ফোন দিয়ে না পেয়ে তালা ভাঙা হয়। পরে পরীক্ষার্থী আরিফাতুজ্জামানকে পঞ্চম তলার ডি-১ নম্বর কক্ষ থেকে বের করে আনা হয়। মোটরসাইকেলে করে কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করায় মেয়েটি পরীক্ষা দিতে পেরেছে।

হোটেলের ম্যানেজার আল আমিন রহমান বলেন, অসুস্থতার কারণে রাতে ডিউটিরত হোটেল বয়কে ছুটি দিয়েছিলাম। আমিও মোবাইল সাইল্যান্ট করে ঘুমিয়ে ছিলাম, তাই এ ঘটনা ঘটেছে।

পরীক্ষার্থী আরিফাতুজ্জামানের সঙ্গে আসা ভাই আব্দুর রফিক বলেন, বৃহস্পতিবার বিকালে তারা দিনাজপুর শহরের মালদহপট্টি গ্রাইন্ড পূর্ভভবা আবাসিক হোটেলের পঞ্চম তলায় ডি-১ কক্ষে ওঠেন। সকাল সাড়ে ৮টার সময় হোটেল থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার সময় বের হতে গিয়ে দেখেন প্রধান গেটে তালা মারা। এরপর হোটেলে কাউকে না পেয়ে ম্যানেজারের নম্বরে ফোন দিলেও তিনি রিসিভি করেননি। ফলে ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে সহযোগিতা চাই। পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেয়। পুলিশের সহযোগিতা না পেলে আজ আমার বোন পরীক্ষা দিতে পারত না।

পরীক্ষার্থী আরিফাতুজ্জামান বলেন, আমি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারব কি না তা জানি না, কিন্তু পুলিশের কাছে সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on linkedin
LinkedIn
Share on print
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ