উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে হবিগঞ্জে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। তিন উপজেলার অন্তত ৪০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, কুশিয়ারার পানি অমলশিদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৬০ সেন্টিমিটার এবং শেওলা পয়েন্টে ৬৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত গণমাধ্যমকে জানান, আজমিরীগঞ্জ, নবীগঞ্জ ও বানিয়াচং উপজেলায় পানি ওঠার পর দুর্গত এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে এবং দেয়া হচ্ছে শুকনা খাবার। তবে পানি আরো বাড়লে নতুন নতুন এলাকায় প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিনহাজ আহমেদ শোভন জানান, আজমিরীগঞ্জ ও নবীগঞ্জে বাঁধ উপচে এবং আজমিরীগঞ্জ রাস্তা ভেঙে পানি লোকালয়ে পানি ঢুকেছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। তাতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। তিনি জানান,গতকাল শনিবার সকালে আজমিরীগঞ্জের পাহাড়পুর-মারকুলি সড়কের নিখলির ঢালা এবং ফিরোজপুর-বদলপুর সড়কের কৈয়ার ঢালায় কুশিয়ারা নদীর বাঁধ ভেঙে যায়। তাতে প্রবল বেগে লোকালয়ে পানি ঢুকে একের পর এক গ্রাম প্লাবিত হতে থাকে বলে জানান প্রকৌশলী শোভন ।
নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নোমান হোসেন তার এলাকায় অন্তত ১০টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার কথা জানিয়েছেন। পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কার কথা জানিয়ে তিনি বলেন এরইমধ্যে তিনশ মানুষকে কয়েক দফায় আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়াও বানিয়াচং উপজেলা বেশ কয়েকটি নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ জহুরুল হোসেন জানান, এর মধ্যে ৩০ হাজার প্যাকেট রাখা হয়েছে হবিগঞ্জের জন্য। আর পাঁচ হাজার প্যাকেট করে সুনামগঞ্জে ও সিলেটে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বলছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের সব ধরনের ‘প্রস্তুতি’ আছে। খাবারের প্রয়োজনে ৩৩৩ হটলাইনে ফোন করলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে।