কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করছেন না সাকিব আল হাসান। নিজের মনগড়া চলাফেরায় মাঠের ক্রিকেটের আলোচিত সাকিব ঢের বেশি সমালোচিত মাঠের বাইরের ঘটনায়।
মাত্র ৪ দিন পরই দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবে বাংলাদেশ দল। অথচ তার আগেই কাউকে কিছু না বলে দুবাই চলে যান সাকিব। ব্যক্তিগত সফরে ঢাকা ত্যাগের আগে সাকিব সংবাদমাধ্যমকে বলে যান তিনি কিছু দিন বিশ্রামে থাকতে চান।
রোববার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাকিব বলেন, আমি শারীরিক ও মানসিকভাবে যে অবস্থায় আছি, মনে হয় না আমার পক্ষে এই মুহূর্তে (দক্ষিণ আফ্রিকায়) আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা সম্ভব। যদি একটা ব্রেক পাই, যদি ওই আগ্রহটা ফিরে পাই, তাহলে আমার জন্য খেলাটা সহজ হবে। কারণ আফগানিস্তান সিরিজে আমার মনে হয়েছে আমি একজন প্যাসেঞ্জার। আমি যেটা হয়ে কখনই থাকতে চাই না।
ক্রিকেট বোর্ডের কাউকে জানিয়ে সাকিব দুবাই চলে যাওয়া তার ওপর ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
সোমবার সংবাদমাধ্যমকে পাপন বলেন, এই টেস্ট খেলব, ওই টেস্ট খেলব না, তা তো হতে পারে না…ওর যদি খেলতেই ভালো না লাগে, তাহলে তো কিছু বলার নেই। যাদের আমরা এত ভালোবাসি, তাদের প্রতি এখনো নমনীয় আছি। কিন্তু ওদের পেশাদার হতে হবে। তা না হলে একটা সময় আসবে, যখন আমাদের মতো সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তখন কারও তা পছন্দ হবে না।
তিনি আরও বলেন, সাকিব যদি কোনো সিরিজে না যায়, কেউ কিছু বলবে না। আপনারা কেউ কিছু বলবেন না। কিন্তু সাকিবকে যদি কোনো সিরিজ থেকে বাদ দিই, তখন কী হবে? তখন আপনারা বোর্ডের বিপক্ষে যে হুলুস্থুলটা বাধাবেন, চিন্তা করে দেখেন।
বিসিবি সভাপতি আরও বলেছেন, যোগাযোগের সমস্যা কোথায়? যোগাযোগের সমস্যা হয় বলেই তো লিখিত নিয়েছি। তারপর যদি বলে ‘খেলব না’, তাহলে এটা যোগাযোগের সমস্যা হয় কীভাবে? আপনারা যোগাযোগের ফারাক বলতে বোঝাচ্ছেন, আমাদের সঙ্গে কোনো সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের তো সমস্যা হচ্ছে না।
পাপন আরও বলেন, আমি সবাইকে পরিষ্কার বলে দিয়েছি, কেউ যদি কোনো সংস্করণ খেলতে না চায়, কোনো সমস্যা নেই। তাহলে এসব করা উচিত নয়। এসব কোনোভাবেই কাম্য নয়। খেলবে না—মেনে নিয়েছি। তাহলে আগে বলে দেবে।
তিনি আরও বলেছেন, রিয়াদেরটা পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য। সে আমার বাসায় এসেছিল। তামিম আলাপ করে নিয়েছে। সে খেলতে চায় না। সাকিবের ব্যাপারটা একেবারেই নতুন। টেস্টে জানতাম, ওয়ানডে নতুন। ও যদি খেলতেই না চায়, তাহলে তো কিছু বলার নেই।