ইউক্রেনের আলভিয়া বন্দরে নিহত মো. হাদিসুর রহমানের দুই ভাইয়ের যে কোনো একজনকে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুহৃদ সালেহীন।
সোমবার (১৪ মার্চ) রাতে হাদিসুরের মৃতদেহ বরগুনার বেতাগীর কদমতলা গ্রামে নিয়ে আসার পরে তার বাবা-মা’কে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে এই তথ্য জানান তিনি।
এসময় তিনি বলেন, হাদিসুরের মৃত্যুতে উপজেলা প্রশাসন শোকাহত ও মর্মাহত। হাদিসুরের অভাব অপূরণীয়। হাদিসুর তার বাবা-মা ও দু্ই ভাইয়ের পুরো খরচ বহন করতেন। এই পরিবারের পাশে প্রশাসন থাকবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে হাদিসুরের সেজ ভাই মো. তারেক অথবা ছোটো ভাই গোলাম রহমান প্র্রিন্স এর মধ্যে শিক্ষাগত যোগ্যতা বিবেচনা করে সুযোগ হলেই তাকে সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
সোমবার (১৪মার্চ) রাত ৯.৪৫ মিনিটে হাদিসুরের মৃতদেহ বরগুনার বেতাগীতে তার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন স্বজনরা। এর আগে সোমবার বেলা ১২টার পর হাদিসুরের মৃতদেহ টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরন করে। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে দুপুর ২টার পরে মৃতদেহ নিয়ে বরগুনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন স্বজনরা।
উল্লেখ্য, গত ২ মার্চ ইউক্রেনের আলভিয়া বন্দরে নোঙর করা বাংলাদেশী জাহাজে রকেট হামলায় নিহত হয় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান। এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি আলভিয়া বন্দরে নোঙর করা হয় জাহাজটি। হাদিসুর একা মারা গেলেও বেঁচে যান জাহাজের বাকি ২৮ জন নাবিক।