সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু কাল

শিক্ষায় ‘নিউ-নরমাল’ অবস্থায় ফিরছে বাংলাদেশ। করোনার ছোবলে বিগত দুই বছরে দু’দফায় ৫৭২ দিন বন্ধ ছিল দেশের শিক্ষাঙ্গন।

এই সময়ে কেউ অনলাইনে ক্লাস করেছে। কেউ দূরশিক্ষণ বা আপৎকালীন পাঠদানের বিশেষ পন্থায় লেখাপড়া করেছে। আবার কেউ শিক্ষকের সান্নিধ্যই পায়নি। তবে এবার করোনার ভয়কে জয় করে পুরোপুরি খুলে দেওয়া হচ্ছে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা। ফলে দুই বছর পর পুরোপুরি আগের রূপে ফিরছে দেশের শিক্ষাঙ্গন।

করোনার আগের স্বাভাবিক কার্যক্রম নতুন করে আগের মতোই শুরু করতে পারার নাম ‘নিউ-নরমাল’ অবস্থা। শিক্ষা বাদে আর সবক্ষেত্রেই এতদিন স্বাভাবিকের মতোই চলে আসছিল।

কিন্তু জানুয়ারিতে করোনার তৃতীয় ঢেউ শিক্ষাঙ্গনকে পিছিয়ে দেয়। বাধ্য হয়ে ২১ জানুয়ারি স্কুল-কলেজ বন্ধ করতে হয়েছে। পরে করোনার সংক্রমণের হার নিম্ন হলে ২২ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক আর ২ মার্চ থেকে প্রাথমিক স্তরের আংশিক ক্লাস চলছিল। প্রাক-প্রাথমিকের ক্লাস বন্ধ ছিল।

মঙ্গলবার প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা যেমন ক্লাসে যাবে, তেমনই প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা (২০২০ সালের ১৭ মার্চের আগের সময়ের মতো) পুরা ক্লাস করবে। এর আগে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ প্রথমবারের মতো দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছিল। তখন প্রথমে ১৫ দিনের জন্য বন্ধ করা হলেও তা পর্যায়ক্রমে বাড়িয়ে ৫৪১ দিনে গড়ায়।

করোনাকালের এই দীর্ঘ বন্ধে ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়া অনেকটাই অনিয়মিত হয়ে পড়ে। কেবল বার্ষিক পরীক্ষাই নয়, এসএসসি-এইচএসসির মতো পরীক্ষায় ছাত্রছাত্রীরা ‘অটোপাশ’ বা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের পরীক্ষায় পদোন্নতি পেয়েছে।
শিক্ষার্থীদের এই ফাঁকে হয়েছে অনেক শিখন ঘাটতি। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহল। শিক্ষাজীবন রক্ষায় ইউনিসেফ, ইউনেস্কোর মতো সংস্থা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে বারবার আহ্বান জানিয়ে আসছিল।

শিক্ষাজীবন রক্ষায় পরে আংশিকভাবে খোলাও হয়। এরই মধ্যে পরিস্থিতির আরও উন্নতি ঘটেছে। কয়েকদিন ধরে করোনার সংক্রমণ ২ শতাংশের নিচে আছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা সংক্রমণ ইতোমধ্যে ‘প্যান্ডেমিকের’ পরিবর্তে ‘এন্ডেমিকে’ (সাধারণ জ্বর-সর্দি) পরিণত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ‘নিউ-নরমাল’ অবস্থায় ফেরার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ