বেশিরভাগ শিশুই চকোলেট, চিপস দেখলেই খাওয়ার জন্য বায়না করে। বড়রাও আদর করে শিশুদের এসব খাবার কিনে দেন। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে এসব খাবার খেলে শিশুর দাঁতসহ শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। প্রাথমিকভাবে এই সব তেমন নজরে না পড়লেও, ধীরে ধীরে তা মারাত্মক আকার ধারন করে।
যেসব খাবার শিশুর দাঁতের ক্ষতি করে-
মিষ্টিজাতীয় খাবার : সব শিশুই চকোলেট, ক্যান্ডি, মিষ্টি খেতে খুব পছন্দ করে। কিন্তু শিশুর দাঁতের জন্য সবচাইতে ক্ষতিকর হল এই চিনিযুক্ত বা মিষ্টি খাবার। অতিরিক্ত মিষ্টি খেলে শিশুদের দাঁতের নানা সমস্যা শুরু হয়। মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকেই দাঁতে ক্যাভিটি নদেখা দেয়। ক্যান্ডি বা চকোলেটের মতো, সহজেই দাঁতে আটকে যায় এমন যে কোনও ধরনের খাবারই খুব ক্ষতিকর। মিষ্টি আঠালো খাবার, টক আঠালো খাবার দাঁতের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর, কারণ এগুলোতে এনামেল ক্ষয়কারী অ্যাসিড থাকে।
সাইট্রাস ফল : টক জাতীয় ফল বা সাইট্রাস ফল এবং ফলের রসেও উচ্চ অ্যাসিড থাকে, যা দাঁতের এনামেলের জন্য খারাপ। লেবু, মুসাম্বি এবং কমলালেবু এই সবই অ্যাসিডিক প্রকৃতির। তবে কমলালেবুতে তুলনামূলক কম অ্যাসিড থাকে। তাই,শিশুকে এসব ফল পরিমিত খাওয়ান। সাইট্রাস জুস পান করার সময় অবশ্যই স্ট্র ব্যবহার করুন, যাতে দাঁতে সরাসরি না লাগে।
পপকর্ন: পপকর্ণ স্বাস্থ্যকর হলেও প্রায়ই দাঁতের মধ্যে বা মাড়ির আস্তরণের নীচে আটকে যেতে পারে। ফলে মাড়িতে ইনফেকশন হতে পারে। তাই পপকর্ন খাওয়ার পরে অবশ্যই দাঁত ব্রাশ করুন।
কার্বনেটেড পানীয়: গরম হোক বা ঠান্ডা, যে কোনও কার্বনেটেড পানীয় কেবল শরীরের জন্যই খারাপ নয়, মুখের জন্যও অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই পানীয়গুলিতে উপস্থিত কার্বনিক অ্যাসিড দাঁতে লাগলে এনামেলের ক্ষতি হয়, যার ফলে দাঁত ক্ষয় হতে পারে।
আলুর চিপস : আলুর চিপস এবং অন্যান্য চিপসে প্রচুর পরিমাণে স্টার্চ থাকে, যা চিনিতে রূপান্তরিত হয় এবং দাঁতের ক্ষতি করে। তাছাড়া, এই খাবারগুলি দাঁতের মধ্যে আটকে থাকতে পারে। ফলে ক্যাভিটি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।