প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রে তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস ও কয়লা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। মঙ্গলবার তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন।
এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়ে বাইডেন বলেন, এই আমদানি বন্ধের ফলে তার দেশকে মূল্য দিতে হবে। আইনপ্রণেতারা এমন পদক্ষেপের ব্যাপারে একমত।
বাইডেন বলেন, ‘আমি আগে যখন এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কথা বলেছিলাম, তখনই বলেছিলাম, স্বাধীনতার জন্য মূল্য দিতে হয়। এই স্বাধীনতার জন্য আমাদেরও মূল্য দিতে হচ্ছে। ডেমোক্রেটিক পার্টি ও রিপাবলিকান পার্টি—দুই দলের নেতারাই এটা বুঝেছেন। তারা এ বিষয়ে স্পষ্ট যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে।’
রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা হোয়াইট হাউস থেকে দিয়েছেন বাইডেন। এই সময় তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের নিরাপত্তা সহযোগিতায় তার দেশ ১০০ কোটি মার্কিন দেবে।
এদিকে রাশিয় থেকে আমদানি বন্ধ করায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বাইডেন এমন ঘোষণা দিতে পারেন—এ বিষয়টি মাথায় রেখেই তেলের দাম ইতোমধ্যেই বাড়ানো শুরু হয়েছে।
ইউক্রেনে হামলার পর থেকে রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো। এ ছাড়া জ্বালানির জন্য রাশিয়ার ওপর নির্ভরতা কমাতেও উদ্যোগ নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাজ্য। রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধের পথে হাঁটছে যুক্তরাজ্য। আর রাশিয়ার গ্যাসের ওপর নির্ভরতা কমাতে পদক্ষেপ নিয়েছে ইইউর দেশগুলো।
রাশিয়ার কাছ থেকে চাহিদার ৪০ শতাংশ আমদানি করে থাকে ইইউর দেশগুলো। ইউরোপিয়ান কমিশন বলেছে, রাশিয়া থেকে যে পরিমাণ গ্যাস আমদানি করা হয়, তা দুই-তৃতীয়াংশ কমানো হবে। ইইউ ও যুক্তরাজ্য যদি জ্বালানি আমদানি বন্ধ করে, তবে রাশিয়ার অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ, রুশ অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি এই জ্বালানি রফতানি।