ডেস্ক রিপোর্ট: ইতালির রাজধানী রোম বসবাসকারী শরীয়তপুরে দুই কৃতি সন্তান আব্দুর রউফ ফকির এবং আফতাফ বেপারী। বহু বছর ধরে এখানে সমাজনীতি এবং রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। ইতালিতে শরীয়তপুরের অধিবাসীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
আর তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এই দুই নেতা। শরীয়তপুর সমিতির বর্তমান সভাপতি আব্দুর রউফ ফকির এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক আফতাফ বেপারী। তারা দুজন শরীয়তপুর অধিবাসীদের প্রত্যাশা পূরণে সফল।
শুধু তাই নয়, রাজনীতিতে আব্দুর রউফ ফকির একটি আলোচিত নাম। ইতালি আওয়ামী লীগের বিগত দিনের সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দায়িত্ব পালন করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।
দলটির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনেও তার ভূমিকা থাকবে বলে মনে করেন দলীয় নেতা কর্মীরা। অপরদিকে বাংলাদেশ সমিতি ইতালির সভাপতি আবতাফ ব্যাপারী একজন সাহসী মানুষ হিসেবে ব্যাপক পরিচিত। বিশেষ করে রোম দূতাবাস যখন পাসপোর্ট দালালিতে আচ্ছাদিত, তখন তার নেতৃত্বে প্রবাসে বাংলাদেশীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। রোম দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে তিনি তৎকালীন রাষ্ট্রদূত আব্দুস সোবান সিকদারকে ইতালি থেকে বিদায় করতে সক্ষম হন।
জনাব বেপারী আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন। শরীয়তপুর বাসীদের ঐক্যবদ্ধ রেখে দলকে সুসংগঠিত করার ক্ষেত্রেও তার ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন অনেকেই। ইতালির রাজনীতিতে দলীয় প্রধান হিসেবে শরীয়তপুরের কোন বিকল্প আছে বলে এখনো মনে করেন না প্রবাসীরা। সুতরাং মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব হোসেন যেমন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন, তেমনি আগামী দিনেও শরীয়তপুর থেকেই ইতালি আওয়ামী লীগের কর্ণধার নির্ধারিত হবে।
আর এসব ক্ষেত্রে আব্দুর রউফ ফকির এবং আবতাফ বেপারীর ভূমিকা থাকবে নিশ্চিতভাবেই। তবে এই দুই নেতা মনে করেন, শরীয়তপুরের অধিবাসী ইতালি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কে এম হোসেন এবং মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব হোসেনসহ আরো কয়েকজন রয়েছেন সিনিয়র নেতা, তাদের প্রতিও এই দুই নেতার শ্রদ্ধা রয়েছে এবং তাদের নেতৃত্বেই রাজনীতির পথ চলা অব্যাহত রাখবেন রউফ ফকির ও আফতাফ ব্যাপারী
