মেয়াদকালের মধ্যে যে কোনো প্যাকেজ ক্রয় করলে সেখানে অব্যবহৃত ডেটা যুক্ত করার পক্ষে মত দিয়েছেন গ্রাহকরা। সম্প্রতি গ্রাহকদের এক জরিপ থেকে এই তথ্য জানা গেছে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি।
সংস্থার সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ প্যাকেজ সংখ্যা ও ডেটার মূল্যের ওপর অনলাইনে গ্রাহক জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন। জরিপে অংশ নেন ৫৪৯ জন।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সম্মেলনকক্ষে মানসম্মত টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে মোবাইল অপারেটরদের প্যাকেজ ও ডেটার (ইন্টারনেট) মূল্য নিয়ে মতবিনিময় সভায় এই জরিপচিত্র তুলে ধরা হয়।
কমিশনের স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার শেখ রিয়াজ আহমেদের সভাপতিতে উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ, টেলিকম সেবাগ্রহীতা, মোবাইল অপারেটরের প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও টেলিকম বিশেষজ্ঞরা।
অব্যবহৃত ডেটা পরবর্তী প্যাকেজে যুক্ত হওয়ার পদ্ধতি কেমন হওয়া উচিত- এমন প্রশ্নের উত্তরে ৮৭ দশমিক ৮ ভাগ বলেছেন, মেয়াদকালের মধ্যে যে কোনো প্যাকেজ গ্রহণ করলেই নতুন প্যাকেজে অব্যবহৃত ডেটা যুক্ত হওয়া উচিত।
সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মাইনুল ইসলাম বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ডেটার মূল্য নির্ধারণে নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন হয় না। মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে নজর দেওয়ার পাশাপাশি মানসম্পন্ন ডেটা সেবার নিশ্চয়তা দিতে হবে।
টেলিকম বিশেষজ্ঞ আবু সাঈদ খান বলেন, গ্রাহকদের জন্য মানসম্পন্ন সেবা নিশ্চিতে টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানে সাপ্লাই লাইনে (সরবরাহ লাইন) যেসব অসংগতি রয়েছে, সেগুলো সমাধান করতে হবে, যাতে গ্রাহক কোনোভাবে প্রতারিত না হন।
টেলিটকের অ্যাডিশনাল জেনারেল ম্যানেজার সাইফুর রহমান খান বলেন, গ্রাহকের মতামতের ওপর গুরুত্ব দিয়ে টেলিটক ডেটা প্যাকেজের পরবর্তী মূল্য ও সংখ্যা নির্ধারণ করবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাহবুব-উল-আলম বলেন, বিটিআরসির দায়িত্ব হলো নিরপেক্ষ ভূমিকায় থেকে অপারেটর ও গ্রাহক উভয়ের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।