ইতালি প্রতিনিধি : বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, মিলান যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে ৫১তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করে। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। মিলানে বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় দিবসের আলোচনা পর্বটি জুমে সম্পন্ন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পাঠানো বাণী পড়ে শোনানো হয়। এরপর মহান মুক্তিযুদ্ধের উপর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র ‘১৯৭১’ প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনাপর্বে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী অংশগ্রহণ করেন। তাঁরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তাঁরা বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর নিকট অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আলোচনার দ্বিতীয় পর্বে প্রথমে বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. চৌধুরী শহীদ কাদের। তিনি বলেন , মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যে বিতর্ক করা হয় তা নেহাৎ বাতুলতা মাত্র। গবেষণায় দেখা গেছে এ সংখ্যাটি প্রকৃত অর্থে আরো অনেক বেশী।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের আরেক সহযোগী অধ্যাপক ড. মুরশিদা বিনতে রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের ইতিহাসের এক যুগসন্ধিক্ষণে জাতিকে অভ্রান্তভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং ধীরে ধীরে জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছেন।
সাজ্জাদ আলী জহির (বীর প্রতীক) বলেন, বাঙালী বরাবরই বীরের জাতি, পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠী বাঙালীদের নানাভাবে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছে। কিন্তু ইতিহাস স্বাক্ষী, এই বাঙালীদের কাছেই তারা লজ্জাজনকভাবে আত্মসমর্পণ করেছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দীন, এম.পি. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তিনি তাঁর যৌবনের বেশীরভাগ সময় কারাগারে অন্তরীণ ছিলেন। কিন্তু তিনি স্থির লক্ষ্যে নিজের জীবন বাজী রেখে সারাজীবন বাঙালী জাতির মুক্তির কথা চিন্তা করেছেন এবং জাতিকে স্বাধীনতা সংগ্রামের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন।
কনসাল জেনারেল এম জে এইচ জাবেদ আমন্ত্রিত অতিথিদের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহেণের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন তাঁদের তথ্যবহুল আলোচনার মধ্যদিয়ে আমরা বিপুলভাবে সমৃদ্ধ হয়েছি।
পরিশেষে তিনি, দেশের উন্নয়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার জন্য প্রবাসীদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।