মতিউর রহমান চৌধুরী, কি করলেন? কেন করলেন?

ডেস্ক রিপোর্ট:”আমার জানামতে, ৫৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা করছেন জনাব মতিউর রহমান চৌধুরী। এখন তিনি মানবজমিন নামের একটি দৈনিকের প্রধান সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি তার এক বন্ধুর সাথে ব্যক্তিগত আলাপ-আলোচনা করেছেন, করতেই পারেন। সাংবাদিকতার নীতিমালা অনুযায়ী সেটাকে তিনি নিউজ আকারে প্রকাশ করে অথবা মতামত আকারে প্রকাশ করে গোটা জাতিকে একটি অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দিলেন। বিগত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তার এবং তার পত্রিকার ভূমিকা আমরা অস্বীকার করছি না। কিন্তু এই সময়ে এসে জনাব মতি ভাই আপনি কি করলেন? কেন করলেন? এটা কি তাহলে কোন গোপন জায়গা থেকে নির্দেশিত হয়ে আপনি করেছেন? নাকি আবেগের বশবর্তী হয়ে অথবা নিজেকে “মহান সাংবাদিক”হিসেবে আরো বেশি প্রকাশ করার জন্য করেছেন? আপনাকে তো দেশ জাতি সমাজ-এগুলো নিয়ে ভাবতে হয়। আপনি ভাবেন, প্রকাশও করেন। সবকিছুই ঠিকঠাক মতো চলছিল। হা তবে অভিযোগ আছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার স্লো গতিতে চলছে। তারা বড় ধরনের ভুল করেছে-এমন অভিযোগ এখনো আসেনি।

ডঃ মোহাম্মদ ইউনুস বিশ্বজুড়ে তার খ্যাতি এবং আলো ছড়িয়েছেন। যার প্রমাণ আমরা গেল জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে পেয়েছি। প্রিয় মতি ভাই, আপনার বিরুদ্ধে এখন অনেক অভিযোগ। ফ্যাসিবাদ বা স্বৈরাচার বিরোধী ভূমিকা রাখার পরও কেউ কেউ বলছেন, ফ্যাসিবাদের সুবিধা নিয়ে আপনি এই কাজটি করেছেন। এটা আপনি নাও করতে পারতেন। রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে যখন বলা হয়েছে “এটি মীমাংসিত বিষয়”। তখন আপনার কেমন লেগেছে মতি ভাই? অর্থাৎ আপনি যা লিখেছেন তা রাষ্ট্রপতি সরাসরি অস্বীকার কিংবা বিরোধিতা না করেই-তার অফিসিয়াল বিবৃতি থেকে প্রমাণিত হলো আপনি নিজেই “মিথ্যাচার” করেছেন। রাষ্ট্রপতি মোঃ শাহাবুদ্দিন চুপ্পু ওই কথা বলেননি। রবীন্দ্রনাথের কথা দিয়েই শেষ করি-“”সেই হাসি বিধাতা যাহাকে দিয়াছেন তাহার আর কথা বলিবার দরকার নাই”” যেহেতু রাষ্ট্রপতি আপনাকেও ওই কথা বলেননি, কাজেই তার প্রতিবাদ তিনি করবেন না এটাই স্বাভাবিক। তিনি তার বঙ্গভবনের দেয়া বক্তব্য থেকেই বুঝিয়ে দিয়েছেন আপনি “ভুয়া”। তথ্যসূত্র: ঢাকার একজন সাংবাদিকের ফেসবুক আইডি থেকে নেয়া

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on linkedin
LinkedIn
Share on print
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ