ভয়াবহ যানজট: ১ ঘণ্টার পথ পেরোতে আড়াই ঘণ্টা পার

রাজধানীতে কয়েক দিন ধরেই তীব্র যানজট দেখা যাচ্ছে। গত কয়েক দিনের চেয়ে আজকে সড়কে যানজটের তীব্রতা অনেক বেশি। গন্তব্যে যেতে দ্বিতীয়-তিনগুণ সময় লাগছে যাতায়াতকারীদের।

বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর বেশ কয়েকটি ব্যস্ত সড়কে খোঁজ নিয়ে এই চিত্র পাওয়া গেছে।

সড়কে ভয়াবহ যানজটে দুর্ভোগের শেষ নেই নগরবাসীর। অনেককে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামে বসে থেকে অবশেষে হেঁটেই গন্তব্যের দিকে রওনা হতে দেখা গেছে।

যানজটে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী ও স্কুলগামীরা। এদিকে বাইরে রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া বাড়তি ভোগান্তি যোগ করেছে।

রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় কথা হয় জোনায়েদ নামে এক বেসরকারি চাকরিজীবীর সঙ্গে।  তিনি বলেন, সড়কে গাড়ি যেন চলছেই না।  জসীমউদ্দীন রোড এলাকায় ৪০ মিনিট এক জায়গায় স্থির ছিল গাড়ি। পরে হেঁটেই রওনা হয়েছি।

কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় রাজিব নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, সাধারণত টঙ্গী স্টেশন রোড থেকে কুড়িল আসতে সময় লাগে ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট। আজ আড়াই ঘণ্টা লেগে গেছে। কতক্ষণ বাসে বসে থাকা যায়। তাই হেঁটেই অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি।
বুধবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কচ্ছপ গতিতে চলছে যানবাহন।

রাজধানীর বনানী, মহাখালী, মিরপুর, ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, শাহবাগ, গুলিস্তান ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সব এলাকায়ই অন্যান্য দিনের চেয়ে যানজট তীব্র। যানবাহন নিয়ন্ত্রণে সকাল থেকেই ট্রাফিক পুলিশকে দেখা গেছে হিমশিম খেতে। বিমানবন্দর এলাকায় সড়কে ট্রাফিক পুলিশকে অনেকটা নিরুপায় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেও দেখা যায়।

সিদ্দিকুর রহমান থাকেন যাত্রাবাড়ী এলাকায়। সেখান থেকে সকাল ৮টায় তিনি বাসে উঠে আড়াই ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি বিমানবন্দরে আসেন। তিনি যুগান্তরকে বলেন, এত জ্যাম হলে কীভাবে ঢাকা শহরে চলব। এভাবে চলতে থাকলে তো অসুস্থ হয়ে যাব। আমাদের বয়সিরা যানজট কিছুটা সহ্য করতে পারলেও শিশু ও অসুস্থদের জন্য খুবই দুরূহ বিষয়।

খিলক্ষেত এলাকা সকাল ৮টায় বাসে উঠেছেন রবিউল। উত্তরা আজমপুর এলাকায় যেতে তার সময় লেগেছে সোয়া এক ঘণ্টা।

করোনার ধকল কাটিয়ে পুরোদমে শুরু হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সেই সঙ্গে সড়কের বিভিন্ন স্থানে চলছে কাজ।  এসব কারণে যানজট বেড়ে গেছে বলে জানা গেছে।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on linkedin
LinkedIn
Share on print
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ